
বরিশালের ২১ নির্বাচনি এলাকার মধ্যে ৭টিতে ভালো অবস্থানে নেই বিএনপি। দলত্যাগী নেতা আর জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীদের শক্ত অবস্থান এখন এসব এলাকায়। প্রার্থী নির্বাচনে ভুল কিংবা ভোটারদের আস্থা ফেরানো না গেলে এই ৭ আসনে ধানের শীষের জয় পাওয়া কঠিন হবে। দলের কিছু নেতাও স্বীকার করেছেন বিষয়টি।
এক্ষেত্রে তারা প্রার্থী নির্বাচন প্রশ্নে ক্লিন ইমেজ আর যাদের কারণে আস্থা হারাচ্ছেন ভোটাররা তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতি জোর দিয়েছেন।
এর মধ্যে বরিশাল-২ আসনে গোলাম ফারুক অভিকে নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। বরিশালের উজিরপুর আর বানারীপাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন চাইছেন সরফুদ্দিন সান্টু, দুলাল হোসেন, রওনাকুল ইসলাম টিপু ও সাইফ মাহমুদ জুয়েল। তবে এদের সবাইকে ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে সাবেক এমপি অভি।
একসময়ের ছাত্রদল নেতা অভি জেপির (মঞ্জু) প্রার্থী হয়ে জিতেছিলেন এই আসনে। মডেল তিন্নি হত্যা মামলার আসামি হয়ে দেশ ছাড়া এই নেতা এখন আছেন কানাডায়। সম্প্রতি তিন্নি হত্যা মামলায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। খুব শিগগিরই দেশে ফিরবেন এমনটাও জানিয়েছেন।
ফেরার পর যদি নির্বাচনে নামেন, তাহলে বিএনপি প্রার্থীর জন্য জয় পাওয়া মুশকিল হবে। কেননা সংসদ সদস্য থাকার ৫ বছরে নির্বাচনি এলাকায় তার করা ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে এখনো অন্য সবার চেয়ে বেশি জনপ্রিয় অভি। তাছাড়া কানাডায় থেকেও নানাভাবে এলাকার উন্নয়ন আর সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করে চলেছেন সাবেক এই ছাত্রনেতা। উজিরপুর-বানারীপাড়ার সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে যা বোঝা গেছে, অভির প্রতি সমর্থন প্রশ্নে এখনো তারা একাট্টা।