Image description
ভোটের জোট নিয়ে নতুন হিসাবনিকাশ শুরু

জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজেদের ভোটব্যাংক বাড়াতে নানা কৌশলে এগোচ্ছে বড় দলগুলো। বিশেষ করে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপিকে ঘিরে জনমনে কৌতূহল-তারা কাদের নিয়ে জোট করছেন? রাজনৈতিকমহল মনে করছেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোর নেতারা মুখে যা-ই বলুক, এখন কিন্তু তারা নির্বাচনি মাঠে নেমে পড়েছেন। তাই জুলাই সনদ ও নির্বাচন নিয়ে দলগুলোর মধ্যে যে মতবিরোধ রয়েছে, তা দ্রুতই সমাধান হবে-এমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। গণ-অভ্যুত্থানের প্রধান তিন স্টেকহোল্ডার এক ধরনের সমঝোতার পথেই হাঁটছে। এদিকে ‘জোট গঠন’ বা ‘আসন সমঝোতা’ নিয়েও পর্দার আড়ালে আলোচনা চলছে। পৃথক জোট গঠন নিয়ে বেশি তৎপর বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি। এর বাইরে বাম, ডান ও ইসলামি দলগুলো আরও পৃথক দুটি জোট গঠনে কাজ করছেন। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য।

এদিকে একটি সূত্র জানিয়েছে, জুলাই সনদসহ কিছু ইস্যুতে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে মতবিরোধকে গুরুত্ব দিয়ে তা সমাধানের চেষ্টা করছেন পশ্চিমা কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরাও। এ নিয়ে দুটি দলের সঙ্গে তারা যোগাযোগও অব্যাহত রেখেছেন। ফেব্রুয়ারিতে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায় কূটনীতিকরাও। এ ব্যাপারে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ইতোমধ্যে তাদের অবস্থান জানিয়েছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী হিসাবে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির গুরুত্বপূর্ণ নেতারা। নির্বাচনকে সামনে রেখে তাদের এ সফর নিয়ে নানা গুঞ্জন রয়েছে। দলগুলোর মধ্যে আস্থার সংকট দূর করতে নেতাদের সফরসঙ্গী করা হতে পারে। তবে অনেকেই বলছেন, জুলাই সনদ ও নির্বাচন নিয়ে যতটুকু মতবিরোধ আছে, সেখানে এর সমাধান হতে পারে। আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানা গেলেও দেশে ফিরলে তাদের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করলেই তা বোঝা যাবে। দেশ কোনো অস্থিতিশীল পথে যাক, তা এখন আর জনগণ চায় না। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত রাজপথে নয়, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা।

এদিকে আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ছোট রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলোকে কাছে টানার চেষ্টা করছে বড় দলগুলো। এজন্য কয়েকটি জোট বা পক্ষ আলাদা কাজ করছে। এসব জোট বা পক্ষের অবস্থানও ভিন্ন ভিন্ন। আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলন করার সময়ের রাজনৈতিক সঙ্গীদের বিএনপি এখনো সুসম্পর্কের মাধ্যমে ধরে রেখেছে। নির্বাচন সামনে রেখে পুরোনো সঙ্গীদের বাইরেও কিছু দলের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বিএনপি। সর্বশেষ দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও মিত্রদের আসন ছাড় দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় ওঠে। সবকিছু ঠিক থাকলে মিত্রদের কতটি আসন ছাড় দেওয়া হবে তা অক্টোবরেই চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে বিএনপির। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী আন্দোলন করা জামায়াতে ইসলামী নতুন ফ্রন্ট বা নির্বাচনি সমঝোতা করতে কাজ করছে। এর বাইরে বাম ও মধ্যম ধারার আরও কয়েকটি দল তৃতীয় একটি জোট গঠনের চেষ্টা করছে। বাম ও ইসলামি ধারার কয়েকটি দল আবার পৃথক জোট গঠনে অনেক দূর এগিয়েছে। এই জোট গড়ার চেষ্টায় ভোটের রাজনীতিতে নতুন হিসাবনিকাশও শুরু হয়েছে।

অন্যদিকে ভোটের জোটে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের একীভূত হওয়ার বিষয়টি। এ নিয়ে দুই দলের নেতারা অনানুষ্ঠানিক আলোচনাও করেছেন। তবে একীভূত হলে দলের নাম কী হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এছাড়া বড় পদ নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি। গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান যুগান্তরকে বলেন, তরুণরা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আলোচনায় ইতিবাচকভাবে অগ্রসর হচ্ছে। ‘যদি-কিন্তু’ ছাড়াই ঐক্যবদ্ধভাবে পথচলার নবযাত্রা শুরু হলে দেশের রাজনীতিতে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির নেতাকর্মীদের অনেকের বিগত দিনে রাজপথে একসঙ্গে পথচলার ও রাজনীতি করার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তিনি আরও বলেন, একীভূত হওয়ার ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত উভয় দলের নেতৃস্থানীয়দের মধ্যে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বিরাজ করছে।

শুক্রবার গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, এখন পর্যন্ত আসন নিয়ে গণঅধিকার পরিষদ কোনো দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেনি। তবে অনেক দলের সঙ্গেই জোট গঠন নিয়ে আলোচনা চলছে। আলোচনার সন্তোষজনক অগ্রগতি হলে অবশ্যই জানানো হবে।

অন্যদিকে ইসলামপন্থিদের ভোট এক বাক্সে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। তাদের এই প্রক্রিয়া এখন দৃশ্যমান। অন্তত সাতটি দল অভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে মাঠে কর্মসূচি পালন করেছে। যদিও এর মধ্যে একটি ইসলামি দল, যাদের শীর্ষ নেতারা হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটিতে রয়েছেন, তারা এখন জামায়াতের সঙ্গে কোনো জোট বা নির্বাচনি সমঝোতায় যাবেন কিনা তা ভাবতে শুরু করেছেন। ওই দলটির একজন কেন্দ্রীয় নেতা যুগান্তরকে জানান, শেষ পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গেও জোটে যেতে পারে তার দল। এদিকে জামায়াতের এই তৎপরতার বিপরীতে বিএনপিও পালটা কৌশল নিয়েছে। গত ৬ এপ্রিল রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে হেফাজতের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। পরে ১ আগস্ট চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির বাবুনগর আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া আজিজুল উলুম মাদরাসায় হেফাজতে ইসলামের আমির মাওলানা শাহ মুহিববুল্লাহ বাবুনগরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। সম্প্রতি আবার ঢাকায় হেফাজতের আমিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপি নেতারা। যদিও এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছিলেন, হেফাজতে ইসলাম অরাজনৈতিক সংগঠন। হেফাজতের আমিরের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে সাক্ষাৎ করেছি। তবে হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে থাকা কয়েকটি রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে আমরা আলাপ-আলোচনা করছি।

এছাড়া মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ও ছারছীনা পীরের সঙ্গে বিএনপির নেতাদের বৈঠক হয়েছে, নির্বাচনকে সামনে রেখে যার অনেক গুরুত্ব রয়েছে। এর কারণ সংগঠনগুলোর নির্দিষ্ট ভোটব্যাংক রয়েছে। এসব সংগঠন আদর্শিকভাবে জামায়াতে ইসলামীর বিরোধী হিসাবে পরিচিত। সম্প্রতি জামায়াতবিরোধী আরও কয়েকটি দল ও সংগঠনের সম্মেলন ও সভায়ও বিএনপি নেতাদের দেখা গেছে।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, আমরা এখনো কারও সঙ্গে সমঝোতার ব্যাপারে আলোচনা করিনি। নির্বাচন এগিয়ে এলে তখন হতে পারে। আর যুগপৎ আন্দোলনের দল ও জোটগুলো আমাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে, তারা তো আছে। ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা হতে পারে। এই বিষয়টি আমরা লক্ষ করছি।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের একজন যুগ্ম মহাসচিব যুগান্তরকে বলেন, হেফাজতের সঙ্গে যেসব রাজনৈতিক দল রয়েছে, সেগুলোর সঙ্গে বিএনপির নির্বাচনি সমঝোতা হতে পারে। তাদের সঙ্গে কারও কারও যোগাযোগ আছে, আর কারও কারও যোগাযোগ হচ্ছে।অন্যদিকে জুলাই সনদের বাস্তবায়নসহ পাঁচ দফা দাবিতে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দল যুগপৎ কর্মসূচি পালন করেছে। তবে এসব দলের একাধিক শীর্ষ নেতা জানান, তারা কোনো নির্বাচনি জোট গঠন করবেন না। ভোট এক বাক্সে আনার চেষ্টা করছে। এই সমঝোতার ভিত্তিতে ধর্মভিত্তিক দল একক প্রার্থী দিয়ে একসঙ্গে নির্বাচন করার বিষয়ে সমঝোতা করতে চায়।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার যুগান্তরকে বলেন, জোটের অগ্রগতি হলেই আমরা জানাব। আর এক বাক্সে নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়টি সময় হলে দেখা যাবে। একটা ঐক্যের আগ্রহ ও আন্তরিকতা অনেক দলগুলোর মধ্যে লক্ষ করা যাচ্ছে, সেই হিসাবে তো প্রচেষ্টা সবাই মিলে করতে হবে। এটা যখন একটা পরিণত রূপ লাভ করবে এবং বলার মতো হবে-তখন আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে জানাব।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, নির্বাচনে ইসলামী দলগুলোর এক বাক্সে থাকার সম্ভাবনা আছে। একক প্রার্থী দিয়ে একসঙ্গে নির্বাচন করার বিষয়ে সমঝোতা হতে পারে। নির্বাচনি তফশিল ঘোষণার পর এই প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হবে বলে আশা করছি।

ওদিকে নতুন জোট গঠন নিয়ে আলোচনা করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ ও জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ নয়টি রাজনৈতিক দল। জোট গঠনের এ উদ্যোগে রয়েছে এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টি এবং গণতন্ত্র মঞ্চের ছয় শরিক-জেএসডি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, নাগরিক ঐক্য, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও ভাসানী জনশক্তি পার্টি। তারা ইতোমধ্যে নিজেদের মধ্যে বৈঠকও করেছে। যদিও এর মধ্যে দুটি দলের শীর্ষ নেতা যুগান্তরকে বলেন, তারা জোট গঠন নয়, জুলাই সনদ ও নির্বাচন নিয়ে অন্যান্য দলের সঙ্গে কথা বলছেন। একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে ফ্যাসিবাদবিরোধী বিএনপিসহ অন্য সব দলের সঙ্গেও বসবেন। তবে নয়টি দলের মধ্যে বামপন্থি কয়েকটি দলের নেতা জানিয়েছেন, এ নিয়ে তারা জামায়াতের সঙ্গে সরাসরি বসতে রাজি নন। তবে কয়েকটি দল জামায়াতের সঙ্গে বসতে পারে। আবার নয় দলের মধ্যে তিনটি দলের শীর্ষ নেতা জানান, জোট গঠন নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। জোট গঠনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে নয় দলের বাইরে আরও কিছু দল যোগ দিতে পারে।

জানা গেছে, বিএনপি তাদের যুগপৎ আন্দোলনের শরিক গণতন্ত্র মঞ্চ নিয়ে আগেই নির্বাচন করা এবং জয়ী হলে সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। যদিও জুলাই সনদ নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের অবস্থান বিএনপির চেয়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভিন্ন। এর মধ্যে গণতন্ত্র মঞ্চের তিনটি দল আবার বিএনপির সঙ্গে জোটে যেতে চায়।

তবে এনসিপি জানিয়েছে, জোট বা সমঝোতার বিষয়ে তাদের দলে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

এদিকে নির্বাচনের আগে বাম ধারার সব দল ও সংগঠনকে নিয়ে একটি জোট গঠনে তৎপর রয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। এতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ছয় দল-বাসদ, বাসদ (মার্কসবাদী), গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, সমাজতান্ত্রিক পার্টি ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ থাকছে। এর বাইরে আদিবাসী সংগঠন, দলিত সংগঠন এবং নাগরিক সংগঠনগুলোকে জোটে ভেড়ানোর চেষ্টা চলছে। এছাড়া আরও কয়েকটি ইসলামি দল মিলে পৃথক জোট গঠনের আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, জুলাই সনদ ও নির্বাচন নিয়ে তো সমঝোতা হওয়া উচিত। ৫ আগস্টের পর এখন এক পরিবর্তিত পরিস্থিতি চলছে। ফলে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য, সব নাগরিকের অংশগ্রহণে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। জনগণ যে রাষ্ট্রের পূর্ণ মালিক সে বিষয়টা গ্রহণযোগ্য করতে হবে। এখন বিভিন্ন বড় ইস্যু নিয়ে সব দল যে পুরোপুরি একমত হবে সেটা বলা যাচ্ছে না। তবে এই বিষয়গুলো নিয়ে তো আলোচনা হতে হবে, আলোচনা হচ্ছেও। বিশেষ করে যে রাজনৈতিক দলগুলো এখন অনুঘটক হিসাবে মাঠে আছে তাদের সিদ্ধান্তে আসতে হবে।

জোট গঠন প্রসঙ্গে এই বিশ্লেষকের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, নির্বাচন সামনে রেখে মোটা দাগে অন্তত তিনটি জোট হতে পারে। বিএনপি ও তাদের মিত্র উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে একটি জোট হবে। জামায়াতের নেতৃত্বে ইসলামি কয়েকটি দল নিয়ে একটি জোট হবে। এছাড়া বাম ধারার রাজনৈতিক দলগুলো মিলে আরেকটি জোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর বাইরে বাম-ডান, মধ্যম ও ইসলামি দলগুলোর আরও দুটি জোট দেখা যেতে পারে।