
পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের চেক ব্যবহার করে চারটি ব্যাংক থেকে ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাবেক এই মন্ত্রীর মালিকানাধীন আরামিটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরীর চান্দগাঁও থানার কালুরঘাট ভারি শিল্প এলাকার আরামিট অফিস থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
দুদকের আইনজীবী মোকাররম হোসাইন যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর নানা অনিয়মের ২৩ বস্তা ডকুমেন্ট উদ্ধারের ঘটনায় চান্দগাঁও থানায় সাধারণ ডায়রি করেছে আরামিট গ্রুপ। আরামিট সিমেন্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট সিকিউরিটি অফিসার রাশেদ কামাল বাদী হয়ে জিডিটি করেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, চারটি ব্যাংক থেকে এসব টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। ইসলামী ব্যাংকের কয়েকটি শাখা থেকে ১ কোটি টাকা, জনতা ব্যাংক থেকে ৩০ লাখ, সোনালী ব্যাংক থেকে ৩৬ লাখ এবং মেঘনা ব্যাংক থেকে ১০ লাখ টাকা তোলা হয়। এর আগে অর্থ পাচার মামলায় দুদকের হাতে গ্রেফতার ব্যাংকের দুই কর্মকর্তার আইনি লড়াইয়ের খরচ বহনের জন্য এ টাকা তোলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন জাহাঙ্গীর আলম। তার কাছ থেকে ১১টি বিভিন্ন ব্যাংকের ১১ চেকের মুড়িও (মুন্ডা) পাওয়া গেছে। বুধবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত দুদক তাকে নিয়ে আরও অভিযান পরিচালনা করছিল।
দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট মোকাররম হোসাইন যুগান্তরকে বলেন, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের নানা অনিয়ম ফাঁস হচ্ছে। ইউসিবিএল ব্যাংকের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলার আসামি আরামিটের এজিএম জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাইফুজ্জামান চৌধুরীর আরামিট পিএলসির ১১টি চেকে ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা মালিকের অনুপস্থিতিতে অনুমতি ছাড়া উত্তোলন করা হয়েছিল। চেকের মুড়ি ও প্রমাণপত্রসহ আরামিট অফিস থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে নিয়ে দুদক এখন অভিযান চালাচ্ছে।
গত ২৪ জুলাই দুদকের উপ-পরিচালক মশিউর রহমান বাদী হয়ে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, তার স্ত্রী, ভাইবোনসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি করেন।