Image description

এবারের জাতিসংঘ সফরে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সফরসঙ্গী হবেন বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির চার নেতা। বুধবার সরকারের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানোর পর এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। ঠিক কোন কোন কারণে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক নেতাদের জাতিসংঘে নিচ্ছেন তা নিয়ে নানা মত জানাচ্ছেন বিশ্লেষকরা।

বৃহস্পতিবার এ নিয়ে সিনিয়র সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামলের ইউটিউব চ্যানেলে নিজের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন সাংবাদিক ও কলামিস্ট আমীন আল রশীদ।

 

 

তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ সফরে যাচ্ছেন ৩টি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ ৪ নেতাকে নিয়ে। এর আগেও আমাদের সরকারপ্রধানরা জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন। তারা কিন্তু অন্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে যাননি। সেই ক্ষেত্রে ড. ইউনূসের সঙ্গে তিনটি দলের নেতাদের যুক্তরাষ্ট্র সফর একটি বিরল ঘটনা।

 

 

তিনি আরো বলেন, “এর পেছনে কয়েকটি কারণ থাকতে পারে। এক. যেহেতু এ সরকার একটি নির্দলীয় সরকার। শুরু থেকেই এই সরকারের একটি লক্ষ্য ‘রাজনৈতিক ঐক্য’। প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার আগে বাংলাদেশে এসে ড. ইউনূস বলেছিলেন, ‘আমরা সবাই মিলে এক জাতি।

 
’ কিন্তু গত এক বছরে এই জায়গায় অনেক বিচ্যুতি ঘটেছে। রাজনৈতিক বিভেদ অনেক বেড়েছে। নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের সরকারের আমলে যদি রাজনৈতিক বিভাজন বাড়ে তাহলে এটা ব্যক্তি ইউনূসের জন্য একটি বড় ধাক্কা। হতে পারে জাতিসংঘের মতো একটি আন্তর্জাতিক ফোরামে তিনি এই বার্তা দিতে চান যে বাংলাদেশে এই মুহূর্তে সক্রিয় বড় তিনটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকারের কোনো দূরুত্ব নেই।

 

দুই. সম্প্রতি লন্ডনে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বহরে হামলা করেছে আওয়ামী লীগ।

 
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রেও তার সঙ্গে একই ঘটনা ঘটেছে। অর্থাৎ সরকারের প্রতিনিধিরা যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা মব সৃষ্টি করছেন, হামলা করছেন। অন্তর্বর্তী সরকার হয়তো আশঙ্কা করছে যে লন্ডনের মতো আক্রমণের ঘটনা আমেরিকাতেও ঘটতে পারে। হয়তো জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে ড. ইউনূসকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। এই আশঙ্কা থেকে হয়তো সরকার ভাবছে যে যদি বড় দলগুলোর শীর্ষ নেতারা সরকারপ্রধানের সঙ্গে সফরে যান তাহলে হয়তো সেখানে এই দলগুলোর স্থানীয় সমর্থকরা আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করবে।

 

তিন. সেখানে সরকার ও তিন দলের একটি বৈঠকও হতে পারে। যার মধ্যস্থতা করবে আমেরিকা। এ রকম একটি বৈঠক অসম্ভব কিছু নয়। ফলে আমরা ঠিক জানি না কী কারণে রাজনৈতিক নেতারা সরকারপ্রধানের সঙ্গে যাচ্ছেন।”