Image description

“বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তা গতিশীল বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় নগণ্য” বলে উল্লেখ করে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, “বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আমাদের এ পুরনো বয়ান এখন ফেলে দিতে হবে।”

গতকাল সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম (বিবিএফ) আয়োজিত ‘বাণিজ্য যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের করণীয় ও এফবিসিসিআই’র ভূমিকা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের সাবেক নেতা আব্দুল হকও যুদ্ধের প্রভাব ও করণীয় নিয়ে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশের কথা যখন আমরা বলি, তখন খুব সহজেই আমরা আত্মতুষ্টির ট্র্যাপের মধ্যে ঢুকে যাই। কিন্তু আমরা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি তার গতি খুব কম। আমাদের অর্থনীতির গতি নেই, ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি নেই। আমাদের দারিদ্র্যের হার এখন উল্টো পথে, সদ্য দেশের বেকারত্ব বেড়ে গেছে, সেটা এখন মহামারি আকারে পৌঁছে গেছে। আর তৃতীয়ত, প্রাথমিকে ঝরে পড়ার হার বেড়ে গেছে।”

বিগত ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনে ‘ভয়াবহ গোষ্ঠীতন্ত্রের’ কথা উল্লেখ করে ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, “এ গোষ্ঠীতন্ত্র দমন করতে গিয়ে বর্তমান সরকার বেসরকারি ব্যবসায়ীদের কাঠগড়ায় তুলছে, সেটা ঠিক হচ্ছে না।”

তিনি বলেন, “আমাদের একটি নতুন প্রবৃদ্ধির চালক দরকার, যা আগামীর বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, অর্থনীতির চাকাকে শক্তিশালী করবে। সেটা পোশাকের বাইরে কৃষি, ওষুধ, আইটি, চামড়া বা অন্য কোনো খাত থেকে আবিষ্কার করতে হবে।”

বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মজিদ, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. এম মাশরুর রিয়াজ, এফবিসিসিআই’র সাবেক সহ-সভাপতি আবুল কাসেম হায়দার প্রমুখ।

এসময় বাংলাদেশ শিল্প ও বাণিজ্য সংগঠনের (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি শফিউল্লাহ চৌধুরী বলেন, “পূর্ববর্তী সরকারের আমলে এফবিসিসিআই কার্যত অকার্যকর ছিল এবং সংগঠনটি ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারেনি। গণঅভ্যুত্থানের পর সংগঠনটির নেতৃত্বে একজন সাবেক আমলাকে বসানো হয়েছে, যার ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে অভিজ্ঞতা নেই।”

তিনি ব্যবসায়ীদের বর্তমান অবস্থা ‘এতিমের মতো’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “আমরা কার কাছে যাবো, কোথায় যাবো, কী করবো বুঝতে পারছি না। হঠাৎ করে বন্দরের শুল্ক বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে, নানা ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।”

শীর্ষনিউজ