
বিক্ষোভকারীদের ওপর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের অভিযোগে কারফিউ উপেক্ষা করে নেপালে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। সামাজিকমাধ্যমের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরেও বিক্ষোভ থামেনি বরং এর তীব্রতা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বড় বিপদ এড়াতে দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি, এমন খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।
নেপালের প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টুডে জানায়, চিকিৎসার কথা বলে তিনি দুবাই যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। বেসরকারি বিমান সংস্থা, হিমালয় এয়ারলাইন্সকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী অলি তার উপ-প্রধানমন্ত্রীকে ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব অর্পণ করেছেন।
এদিকে, পুরো পরিস্থিতি মূল্যায়ন এবং একটি অর্থবহ সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় সময় আজ সন্ধ্যা ৬টায় একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন।
এই কঠিন পরিস্থিতিতে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, বিক্ষোভের জেরে স্বারাষ্ট্র ও কৃষিমন্ত্রীর পর তৃতীয় মন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করেছেন নেপালের পানি সরবরাহ মন্ত্রী প্রদীপ যাদব। প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির পদত্যাগের দাবিতে নতুন করে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। মন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতাদের বাড়িঘরে হামলা চালাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা। ঘটেছে অগ্নি সংযোগের ঘটনাও।