Image description

সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে সংসদের উচ্চকক্ষ গঠনের বিষয়টি বিএনপিকে মেনে নেওয়ার অনুরোধ করেছিল অন্তর্বর্তী সরকার। তবে বিএনপি তা মানেনি।

সরকার ও বিএনপির সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, গত ৩১ আগস্ট রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠকের সময় সরকারের পক্ষ থেকে একজন উপদেষ্টা এ অনুরোধ জানান। ওই সময় প্রধান উপদেষ্টা বিষয়টি উত্থাপন করে বিএনপিকে ভেবে দেখতে বলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বিএনপি নেতা বলেন, ৩১ আগস্টের বৈঠকে বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। তাঁরা বলেছেন, ইতোমধ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। পিআরসহ সাংবিধানিক সংস্কার প্রস্তাবগুলো এখনই বাস্তবায়নের কোনো বৈধ বা সাংবিধানিক উপায় যদি থাকে, বিএনপি তা মেনে নেবে।

সংসদবিষয়ক গবেষক অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন আহমদ বলেন, উচ্চকক্ষের গঠনপদ্ধতি ও ক্ষমতা নিয়ে ঐকমত্য কমিশন যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে, তা খুবই ভালো। ...তবে বিএনপি যেভাবে উচ্চকক্ষ গঠনের কথা বলছে, তা অযৌক্তিক।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনের বিষয়ে ঐকমত্য হলেও উচ্চকক্ষের নির্বাচন বা গঠনপদ্ধতি নিয়ে মতভিন্নতা আছে। ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত হলো, উচ্চকক্ষ বা সিনেট হবে ১০০ সদস্যের। নিম্নকক্ষের নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষের ১০০ জন সদস্য নির্বাচিত হবেন। অর্থাৎ, একটি দল ৩০০ আসনে যত ভোট পাবে, তার অনুপাতে উচ্চকক্ষে আসন পাবে। তবে এই পদ্ধতি নিয়ে বিএনপি ও এনডিএমের ভিন্নমত (নোট অব ডিসেন্ট) আছে। তারা চায় নিম্নকক্ষে একটি দল যত আসন পাবে, তার ভিত্তিতে উচ্চকক্ষে আসন বণ্টন হবে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিএনপির চাওয়া অনুযায়ী উচ্চকক্ষ গঠন করা হলে এটি হবে নিম্নকক্ষেরই প্রতিচ্ছবি। এভাবে উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে অনর্থক এবং অর্থের অপচয়। এতে উচ্চকক্ষ গঠনের যে উদ্দেশ্য, তা পূরণ হবে না। আইনসভায় ভারসাম্য আনা এবং একক দলের ইচ্ছায় সংবিধান পরিবর্তনের সুযোগ কঠিন করার জন্য উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

তারা মনে করছে, লন্ডন বৈঠকের পর থেকে সরকার সংস্কারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিএনপির চাওয়াকেই প্রাধান্য দিচ্ছে। বিএনপিও সংস্কার প্রশ্নে ক্রমে শক্ত অবস্থান নিচ্ছে।

লন্ডন বৈঠকের পর থেকে শক্ত অবস্থানে বিএনপি
ছয়টি সংস্কার কমিশনের ৮৪টি প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্য ও সিদ্ধান্ত হয়। এগুলো নিয়ে তৈরি হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ। এর মধ্যে উচ্চকক্ষের নির্বাচন পদ্ধতিসহ মোট ৯টি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবে বিএনপির ভিন্নমত আছে।

সরকার, রাজনৈতিক দল ও ঐকমত্য কমিশন সূত্র জানায়, জুলাই জাতীয় সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে দলগুলোর মধ্যে, বিশেষ করে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মতভিন্নতা প্রকট। সম্প্রতি ঐকমত্য কমিশন এ বিষয়ে একাধিক অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টার বাসায় এই তিন দলসহ আরও কয়েকটি দল, ঐকমত্য কমিশনের প্রতিনিধি এবং সরকারের একাধিক উপদেষ্টা মিলে গত মাসে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়। কিন্তু সেখানেও কোনো মতৈক্য হয়নি।

গত জুনে লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন কার্যক্রম দেখে জামায়াত ও এনসিপির মনে সন্দেহ জেগেছে যে সরকারের সঙ্গে বিএনপির বিশেষ কোনো সমঝোতা হয়েছে কি না। তারা মনে করছে, লন্ডন বৈঠকের পর থেকে সরকার সংস্কারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিএনপির চাওয়াকেই প্রাধান্য দিচ্ছে। বিএনপিও সংস্কার প্রশ্নে ক্রমে শক্ত অবস্থান নিচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অন্তর্বর্তী সরকার গত ৫ আগস্ট যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করেছে, তাতে নাখোশ হয় জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি। তারা মনে করে, এখানে বিএনপির চাওয়াকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। ওই সময় বৃহত্তর স্বার্থে বিষয়টি মেনে নিলেও তারা জুলাই জাতীয় সনদ প্রশ্নে ছাড় দিতে চায় না।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিএনপির চাওয়া অনুযায়ী উচ্চকক্ষ গঠন করা হলে এটি হবে নিম্নকক্ষেরই প্রতিচ্ছবি। এভাবে উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে অনর্থক এবং অর্থের অপচয়। এতে উচ্চকক্ষ গঠনের যে উদ্দেশ্য, তা পূরণ হবে না। আইনসভায় ভারসাম্য আনা এবং একক দলের ইচ্ছায় সংবিধান পরিবর্তনের সুযোগ কঠিন করার জন্য উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে মতভিন্নতা
জামায়াত ও এনসিপি চায় জাতীয় নির্বাচনের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে। যেসব বিষয়ে বিএনপির ভিন্নমত আছে, সেগুলোও ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাস্তবায়ন করতে হবে। কারণ, সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের মতামতের ভিত্তিতে ঐকমত্য কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জুলাই সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি মনমতো না হলে দল দুটিতে নির্বাচন বর্জনের চিন্তা আছে।

জামায়াতে ইসলামী চায় গণভোট বা রাষ্ট্রপতির প্রক্লেমেশনের মাধ্যমে সনদ বাস্তবায়ন হোক। আর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে এনসিপি লিখিতভাবে জানিয়েছে, তারা মনে করে, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন সরাসরি গণপ্রতিনিধিত্বশীল একটি সংস্থার মাধ্যমে হওয়া আবশ্যক। এ জন্য গণপরিষদ গঠন করা প্রয়োজন। প্রস্তাবিত সংস্কার ও সনদ বাস্তবায়নের জন্য সাংবিধানিক কাঠামো দেবে গণপরিষদ।

অন্যদিকে বিএনপি মনে করে, সংবিধান–সংক্রান্ত যেসব প্রস্তাব আছে, সেগুলো আগামী সংসদ ছাড়া বাস্তবায়নের কোনো বৈধ পথ নেই। তারা আগামী সংসদ গঠিত হওয়ার দুই বছরের মধ্যে এসব প্রস্তাব বাস্তবায়নের পক্ষে। তারা এটি কমিশনকে জানিয়েছে। সব মিলিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার কারণে জুলাই সনদ ঝুলে যাওয়া ও নির্বাচন প্রশ্নে সংশয় বাড়ছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, সামগ্রিকভাবে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে তাঁরা সুপারিশ দেবেন। এ জন্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, দলগুলোও তাদের মতামত দিয়েছে। সেখানে গণভোটসহ বিভিন্ন পরামর্শ এসেছে।

আলী রীয়াজ বলেন, উচ্চকক্ষের গঠন পদ্ধতিসহ যেসব সিদ্ধান্তে ভিন্নমত আছে, সেগুলো নিয়ে গণভোট করা যায় কি না, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ চাইবে ঐকমত্য কমিশন। তাঁরা আশা করছেন, বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে একটি পথ-পদ্ধতি পাওয়া যাবে।

দ্বিকক্ষের প্রস্তাব কেন
আইনসভা দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করার প্রস্তাব ছিল সংবিধান সংস্কার কমিশনের। আইনসভার উচ্চকক্ষ হবে ‘অতিরিক্ত তত্ত্বাবধায়নমূলক’ একটি স্তর। এটি সংসদের নিম্নকক্ষের বা সংসদে সরকারি দলের নিরঙ্কুশ আধিপত্য ও একচ্ছত্র ক্ষমতা কমাবে, এমন চিন্তা থেকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা গঠনের প্রস্তাব করেছিল সংস্কার কমিশন।

সংবিধান সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদনে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনের প্রস্তাবের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলেছিল, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে একটি এক কক্ষবিশিষ্ট আইনসভা ব্যবস্থা চালু রয়েছে। তবে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে এর কার্যকারিতা ক্রমেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আসছে।

তাতে আরও বলা হয়, পর্যাপ্ত পর্যালোচনা এবং কার্যকর বিতর্ক ছাড়াই দ্রুত ও দুর্বল আইন প্রণয়নের কারণেও এক কক্ষবিশিষ্ট ব্যবস্থা সমালোচিত হয়েছে। সংসদীয় তদারকি এবং নিয়ন্ত্রণের অভাবে শাসক দলকে নিপীড়নমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে, যা স্বেচ্ছাচারী আইন প্রণয়ন ও ক্ষমতা কেন্দ্রীকরণে সহায়তা করেছে। এ ক্ষেত্রে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী ও পঞ্চদশ সংশোধনীর উদাহরণ টানা হয়। ১৯৭৫ সালে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে দেশে সংসদীয় শাসনপদ্ধতির পরিবর্তে রাষ্ট্রপতিশাসিত শাসনপদ্ধতি চালু এবং বহুদলীয় রাজনীতির পরিবর্তে একদলীয় রাজনীতি প্রবর্তন করা হয়েছিল। আর ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাদ দেওয়া হয়েছিল।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সংবিধান সংশোধন পদ্ধতিকে কিছুটা কঠিন করার লক্ষ্যেই সংবিধান সংশোধন বিল উভয় কক্ষে দুই–তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাসের বিধান প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, সংবিধান সংশোধন বিল উচ্চকক্ষে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস হতে হবে। এতেও সরকারি দলের পক্ষে এককভাবে সংবিধান সংশোধন করা কঠিন হবে।

নিম্নকক্ষে আসন না পেলেও ভোটের অনুপাতে কোনো কোনো দলের উচ্চকক্ষে আসন পাওয়ার সুযোগ থাকবে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে উচ্চকক্ষ গঠন হলে সেখানে কোনো দলের একক নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। উচ্চকক্ষে তুলনামূলক বেশিসংখ্যক দলের প্রতিনিধিত্ব থাকবে এবং ভারসাম্যমূলক হবে। কারণ, এ পদ্ধতিতে কোনো দলের পক্ষে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ারই সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে কোনো দলকে নিম্নকক্ষের নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের ৫০ শতাংশের বেশি পেতে হবে। দেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনগুলোর কোনোটিতেই কোনো দল এককভাবে ৫০ শতাংশ ভোট পায়নি। অন্যদিকে নিম্নকক্ষে আসন না পেলেও ভোটের অনুপাতে কোনো কোনো দলের উচ্চকক্ষে আসন পাওয়ার সুযোগ থাকবে।

বিএনপি তাদের ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবেও উচ্চকক্ষ গঠনের কথা বলেছিল। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সম্প্রতি প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তাঁরা ভারসাম্যের চিন্তা থেকে উচ্চকক্ষের প্রস্তাব করেননি। তাঁদের চিন্তা হলো, সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রথিতযশা ব্যক্তিদের উচ্চকক্ষে জায়গা করে দেওয়া গেলে জাতি উপকৃত হবে।

উচ্চকক্ষের দায়িত্ব ও ভূমিকা
নিম্নকক্ষের প্রস্তাবিত আইন প্রণয়নের পর্যালোচনা করবে উচ্চকক্ষ। উচ্চকক্ষের আইন প্রণয়নের ক্ষমতা থাকবে না। তবে কোনো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন প্রণয়নের জন্য নিম্নকক্ষ বরাবর প্রস্তাব করতে পারবে। নিম্নকক্ষে পাস হওয়া অর্থবিল এবং আস্থা ভোট ছাড়া সব বিল উচ্চকক্ষে উপস্থাপন করতে হবে। উচ্চকক্ষ কোনো বিল স্থায়ীভাবে আটকাতে পারবে না। উচ্চকক্ষ কোনো বিল সর্বোচ্চ দুই মাসের বেশি আটকে রাখলে, তা উচ্চকক্ষে অনুমোদিত হয়েছে বলে বিবেচিত হবে।

উচ্চকক্ষ সংশোধনের সুপারিশসহ বিল পুনর্বিবেচনার জন্য নিম্নকক্ষে পাঠাতে পারবে। সে ক্ষেত্রে নিম্নকক্ষ উচ্চকক্ষের প্রস্তাবিত সংশোধনগুলো সম্পূর্ণ ও আংশিকভাবে গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করতে পারবে। উচ্চকক্ষের ফেরত পাঠানো বিল যদি নিম্নকক্ষের অধিবেশনে আবারও পাস হয়, তবে উচ্চকক্ষের অনুমোদন ছাড়াই বিলটি রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। সংবিধান সংশোধন–সংক্রান্ত যেকোনো বিল উচ্চকক্ষের সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস করতে হবে।

সংসদ বিষয়ে গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন আহমদ বলেন, উচ্চকক্ষের গঠনপদ্ধতি ও ক্ষমতা নিয়ে ঐকমত্য কমিশন যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে, তা খুবই ভালো। এতে সংসদে একধরনের ভারসাম্য থাকবে। কোনো দল চাইলে কথায়–কথায় সংবিধান সংশোধন করে ফেলতে পারবে না। বিরোধী দলকে যৌক্তিকতা বোঝাতে হবে। তবে বিএনপি যেভাবে উচ্চকক্ষ গঠনের কথা বলছে, তা অযৌক্তিক। তাতে উভয় কক্ষে একই দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকবে। এভাবে উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে অনর্থক এবং অর্থের অপচয়।