Image description

আপত্তি সত্ত্বেও পুলিশে গোপালগঞ্জ দ্বন্দ্বের কারণে দ্বিতীয়বার চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। এমনকি শেষবার যখন আইজিপি হিসেবে ফের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়, তখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবকে ‘না’ করেছিলেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার জেরায় এমন দাবি করেছেন আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি মামুন।

এদিন সকালে শেখ হাসিনার স্টেট ডিফেন্স যখন সাবেক আইজিপি মামুনকে জেরা করেন, তখন তার কাছে জানতে চান তিনি মেয়াদ বাড়াতে আপত্তি জানিয়েছিলেন কিনা?

এমন প্রশ্নের সাবেক আইজিপি মামুন বলেন, প্রথমবার মেয়াদ বাড়ানোর সময় আপত্তি না করলেও দ্বিতীয়বার তার আপত্তি সত্ত্বেও পুলিশে গোপালগঞ্জ দ্বন্দ্বের কারণে তাকে ফের আইজিপি করা হয়।

আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক এই আইজিপি জানান, ছাত্রজীবনে সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন তিনি। তার বাবা ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। এছাড়া এক ভাই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলেও অন্যরা জড়িত ছিলেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ২০১৬ সালে তিনি ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি ছিলেন। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের শেষ থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সিআইডির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ২০২০ সালের ১৪ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ডিজি ছিলেন।

এর আগে সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ জুলাই গণহত্যায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়া চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের জেরা শুরু করেন স্টেট ডিফেন্স আমীর হোসেন।

গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন 
ট্রাইব্যুনাল।

শীর্ষনিউজ