
শুধুমাত্র ছাত্রলীগ করার কারণে কারও প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে এটি ভুল তথ্য, সুনিদিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষের আইনজীবী শিশির মনির।
আজ বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে শুনানিতে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন স্থগিত করে দেওয়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আবেদনের ওপর শুনানিতে তিনি আরও বলেন, ডাকসু নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট মনোনীত প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ যিনি রিট করেছেন তার রিট করার কোন আইনগত ভিত্তি (লোকাস স্ট্যান্ডি) নেই। কারণ রিটকারী ফাহমিদা আলম জিএস প্রার্থী নয়। ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হননি। তাই এ রিট চলতে পারে না। রিটকারী ডাকসু নির্বাচন বানচাল করার জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এ রিট দায়ের করেছেন।
এদিন বেলা ১১টা ১৮ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করছেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে প্রার্থী জুলিয়াস সিজার তালুকদারের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ জানান, সিন্ডিকেট মিটিং থেকে তদন্তের জন্য যে কমিটি করা হয়েছে তাদের মতামতের ভিত্তিতে উপাচার্য প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিন্ডিকেট সভায় অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ের জন্য তিন সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক সুপণকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়।