
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার করে নাশকতা, জনগণের জানমাল ক্ষতি ও জনমনে ত্রাস সৃষ্টি করার লক্ষ্যে চারটি গ্রেনেড সদৃশ বস্তু নিজ হেফাজতে রেখেছিল ফয়সাল খান। রবিবার যাত্রাবাড়ীর বিবিরবাগিচা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে র্যাব-১০, সিপিসি-১ যাত্রাবাড়ী ক্যাম্পের একটি দল। এ সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ফয়সাল খানকে।
সোমবার সকালে র্যাব-১০, সিপিসি-১ যাত্রাবাড়ী ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার এসএম হাসান সিদ্দিকী সুমন ঢাকা টাইমসকে এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, র্যাবের একটি চৌকস দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বিকালে যাত্রাবাড়ী থানাধীন বিবিরবাগিচা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ওই এলাকার ফ্যান্টাসি টাওয়ারের একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে গ্রেনেড সদৃশ ৪টি অবিস্ফোরিত বোমা জাতীয় বস্তু উদ্ধার করা হয় এবং ফয়সাল খান নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, বিস্ফোরকগুলো বাসার শয়নকক্ষে লুকিয়ে রেখেছিল সে। ধাতব লিভার, সেফটি পিন ও রিং যুক্ত কালো রঙের ৫ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য ও ৯ ইঞ্চি ব্যাসবিশিষ্ট প্রতিটি গ্রেনেড সদৃশ বস্তুর ওজন আনুমানিক ৩১০ গ্রাম।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফয়সাল খান স্বীকার করে যে, সে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার করে নাশকতা, জনগণের জানমাল ক্ষতি ও জনমনে ত্রাস সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে এসব বস্তু নিজের হেফাজতে রেখেছিল।
গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইন, ১৯০৮ মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকাটাইমস