
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদের ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টের পাল্টা জবাব দিয়েছেন বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাইয়াজ। বুধবার (২৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ জবাব দেন তিনি।
পোস্টে তিনি লেখেন, আবদুল হান্নান মাসউদ ভাই, আপনি কী জানেন যমুনা ঘেরাওয়ের কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়েছিলো কিনা? আপনি কী জানেন, পুলিশ খেতে বসায় রাস্তায় ব্যারিকেড দিতে ভুলে গেছিলো? জানেন নাকি, আমরা প্রায় ৪-৫ হাজারের ক্রাউডকে দুইবার থামাইছি, আর দুইবারই পুলিশ হামলা করে উস্কে দিয়েছে?
আবরার ফাইয়াজ লেখেন, আমরা হাত দিয়ে ব্যরিকেড বানিয়েছি, পোলাপান থেমেছে আর পিছন থেকে এসে কিল ঘুষি দিয়ে গলা ধরেছে শিক্ষার্থীদের গলা ধরেছেবএই পুলিশ? জানেন নাকি, পোলাপান যমুনা থেকে মিনিমাম ১০০-২০০মিটার দূরে রাস্তায় বসার পরে ক্রাউড ফুল ঠান্ডা হওয়ার পরে, বসে থাকা পোলাপানের মধ্যে সাউন্ড গ্রেনেড মারা হয়েছে? জানেন নাকি, আমরা বার বার অনুরোধ করেছি আপনারা হামলা থামান, আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরোও লেখেন, অথচ, আরো তীব্র হামলা হয়েছে তারপরেও? জানেন নাকি, মিন্টু রোড থেকে সরে আসার পরও শাহবাগ মেট্রোর নিচেও আমার বন্ধুদের উপর হামলা করা হয়েছে? এমনকি একা একজনকে পেয়েও পেটানো হয়েছে? দেখেন, সুশীলতা ভালো তবে সুশীল যদি ৫ই আগস্টের আগে হইতেন আপনাকে কেউ আজ চিনতো না, এই আর কী।
এর আগে এক পোস্টে আবদুল হান্নান মাসউদ লেখেন, কথায় কথায় যমুনা ঘেরাও, কোন ভালো সংস্কৃতি হতে পারে না। অনেক হয়েছে, এবার আমাদের থামা উচিত। মূলত আমাদের এসকল অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্তই দীর্ঘমেয়াদে রাষ্ট্রকে আরো ভঙ্গুর করে দিচ্ছে। আর এর সুযোগ নিচ্ছে পুরনো এস্টাবলিশমেন্টগুলো। যারা পরিবর্তনের পথে সবচেয়ে বড় বাঁধা। রাষ্ট্রের পঁচে যাওয়া শাসনতন্ত্রিক ও প্রশাসনিক কাঠামোর আমূল পরিবর্তন না হলে, দীর্ঘমেয়াদে আমাদের প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে এসকল ঠুনকো বিষয়ে বারবার রাস্তায় নামতে হবে।
তিনি আরও লেখেন, নিজেদের ভাইদের বিরুদ্ধে মূলত এই পুরনো কাঠামোই আমাদের মুখোমুখি দাঁড় করাচ্ছে। এ অসহিষ্ণুতা সারাদেশে যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে, তা সত্যিই ভয়ংকর। শুরু হয়েছিলো, সিটি কলেজ-আইডিয়্যাল কলেজ দ্বন্দ্ব দিয়ে।