
চীনা গবেষকরা মানুষের শরীরে প্রথমবারের মতো শূকরের ফুসফুস প্রতিস্থাপন করেছেন । তারা এক ৩৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তির শরীরে শূকরের বা ফুসফুস প্রতিস্থাপন করেন।
গুয়াংজু মেডিকেল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অঙ্গটি প্রতিস্থাপনের পর কিছুটা কাজ করেছিল। তবে শরীরের অ্যান্টিবডি আক্রমণের কারণে দ্রুত জটিলতা দেখা দেয়। চিকিৎসাবিষয়ক সাময়িকী নেচার-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিন থেকে ছয় দিনের মধ্যে প্রতিস্থাপিত ফুসফুসে তরল জমা হয়।
মার্কিন বিজ্ঞানীরা এ গবেষণাকে আশাব্যঞ্জক মনে করছেন, তবে সতর্কতার পরামর্শ দিয়েছেন। নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক স্টেফানি চ্যাং বলেন, ফুসফুস প্রতিস্থাপন অত্যন্ত জটিল এবং এর কোনো বিকল্প চিকিৎসা নেই। তাই প্রাণীর অঙ্গ মানুষের জন্য কার্যকর করা গেলে এটি হবে বিশাল সাফল্য।
হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের অধ্যাপক রিচার্ড পিয়ারসন মনে করেন, এই প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে দেখা গেছে শূকরের ফুসফুস মানুষের শরীরে বসানো সম্ভব। তবে প্রতিস্থাপিত ফুসফুস আসলেই কতটা কার্যকর ছিল, সেটি প্রমাণের সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফুসফুস সব সময়ই অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে কঠিন, কারণ এটি সরাসরি দূষণ ও জীবাণুর সংস্পর্শে থাকে এবং এর প্রতিরোধব্যবস্থাও অত্যন্ত শক্তিশালী। এ কারণে মানুষের মধ্যে ফুসফুস প্রতিস্থাপন অন্য অঙ্গের তুলনায় অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তবুও এই গবেষণা ভবিষ্যতের চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত উন্মোচনের সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
সূত্র: ন্যাচার