Image description

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের সহায়তায় পদক্ষেপ নিতে মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিনে এরদোয়ান।

২৩ আগস্ট প্রকাশিত এই চিঠিতে এমিনে এরদোয়ান বলেন, ইউক্রেনের যুদ্ধবিধ্বস্ত শিশুদের প্রতি মেলানিয়ার সংবেদনশীলতার মতো একই ভূমিকা যেন তিনি ফিলিস্তিনি শিশুদের পক্ষেও রাখেন। তিনি লিখেছেন “আমি বিশ্বাস করি, ইউক্রেনের ৬৪৮ শিশুর প্রতি আপনি যে মানবিক সংবেদনশীলতা দেখিয়েছেন, তা গাজার শিশুদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।”

জাতিসংঘ সমর্থিত সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন জানিয়েছে, গাজায় প্রায় ৫ লাখ মানুষ বর্তমানে দুর্ভিক্ষের মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে ৫ বছরের কম বয়সী অন্তত ১ লাখ ৩২ হাজার শিশু মৃত্যুঝুঁকিতে। ইতোমধ্যে প্রতি তিন শিশুর একজন তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। সংস্থার পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই পরিস্থিতি ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে।

চিঠিতে এমিনে এরদোয়ান উল্লেখ করেন “গাজার হাজারো শিশুর মৃত্যুর পর তাদের কফিনে লেখা হয় ‘অজানা শিশু’। এটি আমাদের বিশ্ব মানবতার জন্য এক গভীর ক্ষত তৈরি করছে।” তিনি আরও বলেন, বর্তমানে যখন বিশ্ব ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার দিকে এগোচ্ছে, তখন মেলানিয়ার আহ্বান ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করবে।

এর আগে আগস্টের শুরুতে মেলানিয়া ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে একটি চিঠি লিখে যুদ্ধক্ষেত্রে শিশুদের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। সেই উদাহরণ টেনে এমিনে এরদোয়ান এবার তাকে সরাসরি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কাছে আবেদন করার আহ্বান জানালেন।

এমিনে এরদোয়ান সাধারণত সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত না হলেও মানবিক ও পরিবেশগত ইস্যুতে সক্রিয়। এর আগে তিনি সিরিয়ান শরণার্থী ও গাজার শিশুদের পক্ষে বিশ্বনেতাদের কাছে একাধিকবার চিঠি লিখেছেন। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও এ কারণে তার প্রশংসা করেছেন।