Image description
বুড়িগঙ্গায় উদ্ধার কারও পরিচয় মেলেনি

ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদী থেকে হাত-পা বাঁধা নারী-শিশুসহ চারজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে চার বছরের এক শিশু, দুই নারী এবং এক পুরুষ রয়েছেন। গতকালও তাদের পরিচয় শনাক্ত হয়নি। এমনকি চার লাশের দাবিদার কেউই হাসপাতাল কিংবা পুলিশের শরণাপন্ন হয়নি।

গতকাল দুপুরে নৌ-পুলিশের ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বুড়িগঙ্গা নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে এসব লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে দুজনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

এদিকে সদরঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) সোহাগ রানা জানান, বুড়িগঙ্গার তীরবর্তী কেরানীগঞ্জের মীরেরবাগ কোল্ড স্টোরেজের কাছ থেকে ভাসমান অবস্থায় প্রথমে আনুমানিক ৩০ বছরের এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই নারীর গলায় কালো রঙের বোরকা প্যাঁচানো ও পরনে গোলাপি রঙের সালোয়ার-কামিজ ছিল। ওই নারীর লাশ উদ্ধারের এক ঘণ্টা পর একই স্থান থেকে ওড়না দিয়ে প্যাঁচানো তিন বছরের এক ছেলে সন্তানের লাশ উদ্ধার করা হয়। কেরানীগঞ্জের বরিশুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি সূত্র জানায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ইউনিয়নের মাদারীপুর জামে মসজিদের কাছ থেকে ৪০ বছরের এক পুরুষ ও ৩০ বছরের এক নারীর ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়। পুরুষের পরনে কালো প্যান্ট ও চেক ফুল শার্ট ছিল। আর নারীর পরনে ছিল ছাই রঙের গেঞ্জি ও লাল রঙের সালোয়ার। তাদের শরীরে আঘাতের সামান্য চিহ্ন রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় পাওয়া লাশগুলোর সঙ্গে ৫০ কেজি ওজনের চালের বস্তা পাওয়া গেছে। যে বস্তার সঙ্গে হাত বেঁধে নারী ও পুরুষের লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।