
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এখনো ভর্তি আছেন ২১ জন। এখানে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছাড়পত্র দিয়েছে ১৫ জনকে। গতকাল জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসক ডা. সুলতান মাহমুদ শিকদার এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বর্তমানে যে ২১ জনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে তাদের সবার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। আমরা আশা করছি- অন্য যারা আমাদের এখানে ভর্তি আছেন তারাও শিগগিরই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবেন। যাদের ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে বা হচ্ছে তারা পরে জাতীয় বার্নে এসে চিকিৎসা নিতে পারবেন। আহতদের অপারেশন প্রয়োজন হলে তারা সেটি করতে পারবে।
ডা. সুলতান মাহমুদ শিকদার বলেন, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ নিশি আক্তার নামের আরও এক শিক্ষিকাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে আহত ১৫ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হলো। শিক্ষিকা নিশি আক্তারের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় রোববার দুপুর ২টার দিকে তাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। শিক্ষিকা নিশি আক্তারের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার জোরানপুর গ্রামে। বর্তমানে তিনি উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের ১৮ নম্বর রোডের ১৩ নম্বর বাসায় স্বামী সাজ্জাদ হোসেনের সঙ্গে থাকতেন।
প্রসঙ্গত, গত ২১শে জুলাই দুপুরে উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনার পর উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী ও বিজিবি। এ ঘটনায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬ জনে। আহত হয়েছেন প্রায় শতাধিক।