
দাবিকৃত চাঁদার পাঁচ লাখ টাকা না পেয়ে এক ওষুধ ব্যবসায়ীকে হাত-পা ভেঙে ও কুপিয়ে আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাতে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চৌরাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ওই ব্যবসায়ীকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই ব্যবসায়ীর বড় ভাই মাসুম মিয়া বাদী হয়ে রোববার দুপুরে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চৌরাপাড়া পাঁচআনীপাড়া এলাকার মোতালিব মিয়ার ছেলে ওষুধ ব্যবসায়ী মামুনুর রশিদ জামপুর ইউনিয়নের তালতলা বাজারে দীর্ঘদিন যাবত ফার্মেসি দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে মামুনুর রশিদ তার বাড়ি চৌরাপাড়ায় বিল্ডিং নির্মাণকালে তার কাছে একই গ্রামের মন্না মিয়ার ছেলে হারুন ও তার লোকজন ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে কথা কাটাকাটি হয়।
এরই জের ধরে গত শনিবার রাতে মামুনুর রশিদ ফার্মেসি বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হারুনের নেতৃত্বে ৮-১০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তার হাত-পা ভেঙে দেয় ও কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। এ সময় তার ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধারের পর সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মামুনুর রশিদের ভাই মাসুম মিয়ার দাবি, অভিযুক্ত হারুন তাদের প্রতিবেশী। তার সঙ্গে এক সময় জমিসংক্রান্ত বিরোধ ছিল। সম্প্রতি বাড়িতে বিল্ডিং নির্মাণ করার সময় চাঁদা না দেওয়ায় তার পরিবারের ওপর হারুনের চরম আক্রোশ সৃষ্টি হয়। শনিবার রাতে তালতলা বাজারের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে তার ভাই মামুনুর রশিদকে একা পেয়ে হারুন ও তার লোকজন কুপিয়ে জখম করে ও দুই পা পিটিয়ে ভেঙে দেয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হারুনের দাবি, তিনি স্থানীয় একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ঘটনার দিন তিনি ঢাকায় তার ছেলেকে নিয়ে নাক, কান, গলা ইনস্টিটিউশনে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন। কে বা কারা মামুনুর রশিদের ওপর হামলা চালিয়েছে তা তিনি জানেন না।
তিনি আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তাদের সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিরোধ থাকায় আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল হাসান খান বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।