Image description

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ শিক্ষক নিশি আক্তার এক মাস পর হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। তার আগে ২১ বার অস্ত্রোপচার হয় তাঁর।

আজ রোববার বেলা দেড়টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের যুগ্ম পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মারুফুল ইসলাম।

 

গত ২১ জুলাই দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, আয়াসহ ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বার্ন ইনস্টিটিউটে বর্তমানে দুর্ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে ২১ জন ভর্তি আছে। যাদের সবাই স্কুলটির শিক্ষার্থী।

 

শিক্ষক নিশি আক্তারের বিষয়ে ডা. মো. মারুফুল ইসলাম বলেন, ‘তাঁর শরীরের অনেকাংশই পুড়ে গিয়েছিল। তাঁকে ২১ বার অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়া হয়েছে। উনার শরীরের যে অংশে পুড়ে গিয়েছিল, তা পাঁচবার কেটে ফেলে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।’

 

তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর ইনস্টিটিউটে ৫৭ জন রোগী এসেছিলেন। বর্তমানে ২১ জন ভর্তি আছেন। মারা গেছেন ২০ জন। আজ বয়োজ্যেষ্ঠ একজনকে ছাড়পত্র দেওয়া হলো। এখন এখানে কোনো বয়স্ক রোগী নেই। ২১ জনের সবাই শিশু। তাদের মধ্যে দু-তিনজনের অবস্থা গুরুতর। তবে আইসিইউতে কেউ ভর্তি নেই।

সংবাদ সম্মেলনে নিশি আক্তার বলেন, ‘আমি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ। সবার মাঝে আমাদের তিনি বাঁচিয়ে রেখেছেন। আমাদের প্রতি সহায় হয়েছেন। এই ইনস্টিটিউটের পরিচালকসহ সব চিকিৎসক, নার্স, স্টাফকে ধন্যবাদ জানাই। তাঁরা শুরু থেকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে পরিশ্রম করেছেন।

‘বিমানবাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি, তাঁরা আমাদের সঙ্গে ছিলেন। এই ঘটনায় যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’

সেদিনের ঘটনা সম্পর্কে নিশি আক্তার বলেন, ‘বাচ্চাদের ক্লাস শেষ করে সবেমাত্র টিচার্স রুমে বসেছি। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে বিকট আওয়াজ হলো। বাইরে এসে দেখি চারদিকে আগুন। ভয়াবহ অবস্থা দেখে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম।’