
জুলাই আন্দোলনে ছাত্রদলের ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুর রহমান ওরফে রাসেল হত্যা মামলায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, সাবেক সহকারী প্রক্টর ও পাবলিক হেলথ ও ইনফরমেটিক্স বিভাগের সাবেক সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
কারাগারে যাবার সময় তিনি বলেন, ‘দেশে এখন কাউকে ধরতে যৌক্তিক কোনো কারণ লাগে না। তবে সত্যের জয় হবে।’
শনিবার (২৩ আগস্ট) ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সালেহ’র আদালতে আসামিকে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার এসআই মেহেদী হাসান তাকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামি পক্ষে তন্ময় ভৌমিক রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
শুনানিতে তিনি বলেন, ‘তিনি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত ছিলেন না। রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছেন। ঘটনার সাথে জড়িত নন। তাকে সন্ধিগ্ধ আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করে রিমান্ড আবেদন করেছে। রিমান্ডের যৌক্তিকতা নেই। রিমান্ড বাতিল করে জামিনের প্রার্থণা করছি।’ উভয়পক্ষের আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সাভার থানার আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই বিশ্বজিৎ দেবনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
শুনানি শেষে আসামিকে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এ সময় সাবেক সহকারী প্রক্টর জনি গণমাধ্যমে বলেন, ‘এ দেশে এখন কাউকে ধরতে যৌক্তিক কোনো কারণ লাগে না। তবে সত্যের জয় হবে।’ হাতে হাতকড়া দিয়ে বেঁধে জাবির সহকারী এ অধ্যাপককে হাজতখানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
এর আগে গত শুক্রবার রাতে সাভার পৌর এলাকার ব্যাংক টাউন মহল্লা থেকে জনিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার বিবরণী থেকে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে ৫ আগস্ট সাভার থানার মুক্তির মোড় এলাকায় আন্দোলন অংশ নেন আরিফুর রহমান ওরফে রাসেল। ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হন তিনি। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই সাইদুর রহমান সাভার থানায় গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর হত্যা মামলা করেন।