
সিলেটের সাদা পাথর লুটের ঘটনায় নানান প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয় নিয়ে দুদকের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর গত দুদিন যাবত এ নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে সকল মহলে। রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিবাদের ঝড়ে মাঠ গরম হয়ে উঠছে।
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী এবং পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানও অভিযোগের তালিকায় রয়েছেন। তদন্ত প্রতিবেদনে সাদা পাথর লুটের ‘প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত’ এবং ‘সুবিধাভোগী ব্যক্তি ও সংস্থার’ তালিকায় বিভাগীয় কমিশনার ও সুপারের কথাও উল্লেখ রয়েছে।
সাদা পাথরের নজিরবিহীন লুট নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার মধ্যে গত ১৩ আগস্ট দুদকের সিলেট কার্যালয়ের উপপরিচালক রাফি মো. নাজমুস সাদাতের নেতৃত্বে একটি টিম সাদা পাথর পরিদর্শন করে। এরপর তারা ১৬ আগস্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনে সাদা পাথর লুটে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা মিলিয়ে ৫৩ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক। প্রতিবেদনে বলা হয়, পাথর আত্মসাতের ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থাগুলোর নিষ্ক্রিয়তা ও যোগসাজশ ছিল।
প্রতিবেদনে বিভাগীয় কমিশনারকে দায়ী করে বলা হয়, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী ৮ জুলাই তার কার্যালয়ে পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, পরিবহন শ্রমিক ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘সারা দেশে পাথর উত্তোলন করা গেলে সিলেটে যাবে না কেন? এর সঙ্গে মানুষের জীবন ও জীবিকা জড়িত।’
তার এ বক্তব্যটি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত হলে সাদা পাথর লুটপাটে ব্যাপক উৎসাহ জুগিয়েছে। সরকারিভাবে পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ থাকলেও তার এ ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে পাথর লুটপাটকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে তিনি রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব পালনের পরিবর্তে পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, পরিবহন শ্রমিক ও রাজনৈতিক নেতাদের অবৈধ স্বার্থরক্ষায় ভূমিকা রেখেছেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ২৭ এপ্রিল অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধের জন্য পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিলেও সিলেট জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান আলোচ্য সাদা পাথর লুটপাটের বিষয়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
সিলেটের আলোচিত সাদা পাথর লুটপাটের ঘটনায় দুদকের তদন্ত রিপোর্টে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পর রাজনৈতিক মহলে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি পৃথকভাবে এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে। নিজেদের জড়ানোর প্রতিবাদে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সিলেট জেলা ও মহানগর শাখা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এনসিপি সিলেট জেলা প্রধান সমন্বয়কারী নাজিম উদ্দীন সাহান ও সিলেট মহানগর প্রধান সমন্বয়কারী আবু সাদেক মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সম্প্রতি কিছু জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তাদের নাম যুক্ত করে পাথর লুটপাটের সঙ্গে জড়িত দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এই প্রতিবেদনে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর একটি কথিত রেফারেন্স থাকলেও, তাদের বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ, প্রমাণ বা তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়নি।
নাজিম উদ্দীন সাহান বলেন, “এই রিপোর্ট একপাক্ষিক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করার একটি চেষ্টার অংশ বলে আমরা মনে করি।” জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) একটি স্বচ্ছ ও জনমুখী রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম, যার জন্ম ২০২৪ সালের ২৪ জুলাই-এর গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে। দুর্নীতিমুক্ত ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব গঠনের লক্ষ্যেই দলটি কাজ করছে। তারা কোনোভাবেই সাদা পাথর সংশ্লিষ্ট দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন। এই পাথর সংক্রান্ত কোনো কার্যক্রমে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। যদি কোনো পক্ষ আমাদের জড়িত প্রমাণ করতে না পারে, তবে অবশ্যই তারা দুঃখপ্রকাশ করবে, অন্যথায় আমরা আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো।
তারা বলেন, শুধু সাদা পাথর নয়, সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রের ক্ষতি ও লুটপাটে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়ক আবু সাঈদ, যুগ্ম সমন্বয়ক সালমান খুরশেদ, জেলা সদস্য মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, মুফতি মাওলানা ছালিম আহমদ, মহানগর যুগ্ম সমন্বয়ক নুরুল হক, তারেক আহমদ বিলাস, এডভোকেট মোহাম্মদ আবদুর রহমান আফজাল, যুগ্ম সমন্বয়ক নাঈম শেহজাদ, জেলা সদস্য মো. নিজাম উদ্দিন, সায়মন সাদিক জুনেদ, কামরান জায়গীরদার, ফুয়াদ আহমদ, যুব উইংসের কেন্দ্রীয় সংগঠক মাহবুব রহমান তাসলিম, জেলা সদস্য সাবের চৌধুরী, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সদস্য মো. জামিল আহমদ, শ্রমিক উইংস কেন্দ্রীয় সংগঠক মাঈন উদ্দিন এবং লোকমান হোসেন।
সিলেট জেলা ও মহানগর জামায়াতে ইসলামী সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর লুটের সঙ্গে জামায়াতের কোনো নেতাকর্মী বা সমর্থকেরও সম্পৃক্ততা নেই। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পাথর লুটের ঘটনার সঙ্গে জামায়াত নেতাদের নাম জড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেছেন দলটির মহানগর জামায়াতের আমীর ফখরুল ইসলাম।
সম্প্রতি দুদকের একটি প্রতিবেদন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ওই তালিকায় তিনি নিজে সহ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তা একেবারেই কাল্পনিক।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পাথর লুটের ঘটনার সঙ্গে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জামায়াত নেতাদের নাম জড়ানো হয়েছে। তা এখন বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে লেখা হচ্ছে। পাথর লুটের সঙ্গে কোনো নেতাকর্মী দূরে থাক, জামায়াতের কোনো সমর্থকেরও ন্যূনতম সম্পর্ক নেই। তবে বৈধভাবে পাথর কোয়ারি খোলার দাবিতে সিলেটের পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের একটি কর্মসূচিতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে জামায়াত নেতারাও সম্প্রতি বক্তব্য রেখেছিলেন। ওই বক্তব্য নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তবে পাথর লুটের কোনো সম্পর্ক নেই। এ ব্যাপারে সিলেট জামায়াতের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তারা লুটপাটকারীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
তিনি দুদকের ওই প্রতিবেদনটিকে একটি ফরমায়েশি প্রতিবেদন বলে দাবি করেন। তাছাড়া প্রকৃত লুটকারীদের আড়াল করতেই এই ষড়যন্ত্র। তারা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। ফখরুল জানান, দুদক এ ধরনের কোনো রিপোর্ট দিয়েছে কি না, তারা তা নিশ্চিত নন। দুদক যদি তাদের কোনো রিপোর্টে জামায়াত নেতাদের নাম উল্লেখ করে, তাহলে অবশ্যই তাদের তা প্রমাণ করতে হবে। অন্যথায় দুদক ও নির্দিষ্ট একটি জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। এ ব্যাপারে জামায়াত বিন্দুমাত্র ছাড় দেবে না বলেও তিনি সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমানসহ সিলেট জেলা ও মহানগর জামায়াতের নেতৃবৃন্দ।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদা পাথর লুটে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে। তবে এমন প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কয়েস লোদী এবং ইমদাদ চৌধুরী। পাথর লুটে জড়িত থাকার কথাও অস্বীকার করেছেন তারা।
মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী জানান, ‘সিলেটে সাদা পাথর চুরির সঙ্গে জড়িত ৪২ জন’ শীর্ষক সংবাদে দুদকের সূত্র দিয়ে কোনোপ্রকার স্পেসিফিক সূত্র, যথাযথ অনুসন্ধান এবং কোনো প্রকার তথ্য প্রমাণ ছাড়াই সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন এবং সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পাথর চুরির সঙ্গে জড়িত মর্মে সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে আমার এবং সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর নাম লুটেরাদের তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এতে করে আমরা রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্নই নয়; বরং এ ধরনের বাস্তবতাবিবর্জিত কাল্পনিক সংবাদের কারণে আমরা আশ্চর্য হয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, কোনোভাবেই এই অপকর্মের সঙ্গে প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না। এবং যারা এই মিথ্যা তথ্যটি পরিবেশন করেছেন; তাদেরকে এটি প্রমাণ করতেই হবে অথবা এ ধরনের মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশনের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।’
কয়েস লোদী আরও বলেন, প্রকৃতপক্ষে বিগত ১৫ বছর থেকে এই এলাকায় তৎকালীন দখলদার আওয়ামী লীগের যোগসাজশে ও প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে এখানে লুটপাট চলছে, যা এখনো চলমান। প্রকাশিত সংবাদে প্রকৃত তথ্য না দিয়ে কোনোপ্রকার তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই মহানগর বিএনপিকে জড়ানোর এমন ঘটনা বিগত দেড় দশকের অপসাংবাদিকতা ও অপসংস্কৃতিকেই মনে করিয়ে দেয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এমন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রত্যাখ্যান করে সংবাদের স্বপক্ষে যথাযথ তথ্য প্রমাণ দেশবাসীর সামনে উপস্থাপন করার আহ্বান জানাচ্ছি। এ ধরনের ভিত্তিহীন, কাল্পনিক এবং গুজব ছড়ানোর জন্য আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছি।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছরের গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট রেজিমের পতনের পর দেশ যখন নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে; ঠিক তখনই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে টার্গেট করে একটি পক্ষ অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে সারাদেশে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছে। এই ধারাবাহিকতায় গত কিছুদিন থেকে সিলেট বিএনপির নেতাকর্মীদের জড়িয়ে গুজব ও অপপ্রচার করা হচ্ছে। একটি পক্ষ ভোটের মাঠে সুবিধা করতে না পেরে এখন বিএনপিকে ঘায়েল করার চক্রান্ত করছে।
কয়েস লোদী বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি এবং ধানের শীষের পক্ষে বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে যখন জনজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, ঠিক তখনই শীষের সুনিশ্চিত বিজয়কে বাধাগ্রস্ত করতে এবং বিএনপিকে বিতর্কিত করতে তারা এই ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
কয়েস লোদী বলেন, আমরা ইতিমধ্যে দেখেছি যে, দুদকের কর্মকর্তারা সাদা পাথর সরেজমিন পরিদর্শনকালে এ ঘটনায় প্রশাসনের গাফিলতির বিষয়টি বলেছেন এবং সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টাও প্রশাসনের দায় আছে মর্মে গণমাধ্যমে বলেছেন। আমরা একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এই পাথর চুরির সঙ্গে জড়িত সবাইকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।
সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রসমূহ দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আকৃষ্ট করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাই এখন পর্যন্ত যেসব পর্যটন কেন্দ্র অক্ষত রয়েছে; তা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। অন্যথায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিনষ্ট হওয়ার ফলে পর্যটকরা সিলেট থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন।