Image description

আগামী ১২ অক্টোবর (রবিবার) চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ফল প্রকাশিত হবে—এমন একটি তথ্য সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। পরে সেটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় সরকারের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে।

এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য, ফল প্রকাশের তারিখটি ‘ভুয়া’। এ বিষয়ে এখনো শিক্ষাবোর্ড থেকে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সাধারণত, এইচএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়। হয়তো সেই হিসেব করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়েছে।

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সূচি অনুযায়ী, গত ১০ আগস্ট লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বেশ কয়েকটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কারণে তিন দফায় এই পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এর ফলে পরীক্ষা শেষ হতে ৯ দিন বেশি সময় লেগেছে। অর্থাৎ, ১৯ আগস্ট থেকে হয় এইচএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা। তাছাড়া সূচি অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের তারিখটি ভুয়া। এই বিষয়ে আমরা এখনো শিক্ষাবোর্ড থেকে কিছুই জানায়নি— অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।

সাধারণত, এসএসসি-এইচএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়। সে হিসেবে আগামী ১৯ অক্টোবর বা তার আগে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের কথা রয়েছে। তবে গতকাল বুধবার (২০ আগস্ট) ফেসবুকের বেশ কয়েকটি পেজ, আইডি ও গ্রুপ থেকে ‘আগামী ১২ অক্টোবর (রবিবার) চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ফল প্রকাশিত হবে’—এমন একটি তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে।

জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের তারিখটি ভুয়া। এই বিষয়ে আমরা এখনো শিক্ষাবোর্ড থেকে কিছুই জানায়নি। তবে সাধারণত লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়। 

এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক রিজাউল হক দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এ বিষয়ে এখনো শিক্ষাবোর্ড  থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফল প্রস্তত হলে আমরা নোটিশের মাধ্যমে জানিয়ে দিব। লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়—হয়তো সেই হিসেব করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়েছে।

 

রাজধানীর একটি কলেজের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া তারিখ ছড়িয়ে পড়ায় আমরা অনেকেই দুশ্চিন্তায় ছিলাম। পরে কোনো গণমাধ্যমে কোনো খবরটি না আসায় বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।

শিক্ষাবোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ১০ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী ছিলেন সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে, মাদ্রাসা বোর্ডের (আলিম) অধীনে প্রায় ৮৬ হাজার এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে প্রায় ১ লাখ ৯ হাজার শিক্ষার্থী ছিলেন।