
নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এখনো ব্যাংক হিসাব নম্বর ও ব্যাংকের নাম জমা দেয়নি জামায়াতে ইসলামী। রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন শর্ত অনুযায়ী ব্যাংক হিসাব নম্বর ও ব্যাংকের নাম দিতে হয় ইসিতে।
জামায়াতে ইসলামীর একটি প্রতিনিধি দল গত ৩১ জুলাই নির্বাচন কমিশনে গিয়ে ২০২৪ পঞ্জিকাবর্ষের আয়-ব্যয়ের যে হিসাব জমা দেয়। তাতে দেখা গেছে, এ নিবন্ধন ফিরে পাওয়া দলটি অভ্যুত্থানের বছরে আয় আর ব্যয়ের হিসাবে সব দলকে ছাড়িয়ে গেছে।
জামায়াতের ব্যাংক হিসাব নম্বর নিয়ে জানতে চাইলে গত সপ্তাহে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছিলেন, সম্প্রতি দলটি নিরীক্ষা প্রতিবেদন দিয়েছে। তাতে দলটির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর নির্দিষ্ট করে উল্লেখ নেই।
জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, অডিট রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়টি আমাদের দলের অর্থ বিভাগ দেখভাল করেছে। অ্যাকাউন্ট নম্বর না থাকার ব্যাপারে খোঁজ নেব।
বৃহস্পতিবার বিকালে জামায়াতের একটি প্রতিনিধি দলের সিইসির সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে।
২০২৪ সালে ২৮ কোটি ৯৭ লাখ ২৯৯ টাকা আয়ের বিপরীতে ২৩ কোটি ৭৩ লাখ ৩৮ হাজার ১৭৭ টাকা ব্যয় দেখিয়েছে জামায়াত।
দলটি বলছে, কর্মীদের চাঁদা থেকেই তারা আয় করেছে সাড়ে ১৬ কোটি টাকা। আর কর্মীদের বেতন-ভাতা দিতে গিয়েই তাদের সবচেয়ে বেশি, সাড়ে ৬ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর আয়ের এই অংক বিএনপির প্রায় দ্বিগুণ, জাতীয় পার্টির প্রায় ১১গুণ বেশি।