Image description
 

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকের জন্য তুরস্ক, অস্ট্রিয়া ও সুইজারল্যান্ডকে সম্ভাব্য স্থান হিসেবে প্রস্তাব দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ইউক্রেনীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।

 

জেলেনস্কি বলেন, আমরা মনে করি বৈঠকটি ফলপ্রসূ হবে এবং ইউরোপীয় নেতারাও জোর দিয়েছেন যে বৈঠকটি ইউরোপের নিরপেক্ষ কোনো দেশে হওয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, তুরস্কও সম্ভাব্য ভেন্যু হতে পারে। কারণ এটি ন্যাটো সদস্য এবং ইউরোপের অংশ।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুর দিক থেকেই আঙ্কারা গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক ভূমিকা পালন করছে। ইস্তান্বুলে গত ১৬ মে, ২ জুন ও ২৩ জুলাই তিন দফা সরাসরি শান্তি আলোচনায় দুপক্ষ অংশ নেয়। এসব আলোচনায় বড় ধরনের বন্দি বিনিময় ও ভবিষ্যৎ শান্তি চুক্তি নিয়ে খসড়া প্রস্তাব আদান-প্রদান হয়েছিল।

জেলেনস্কি মস্কোকে বৈঠকের স্থান হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেন এবং হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে বৈঠক আয়োজনকে ‘আজকের পরিস্থিতিতে সহজ নয়’ বলে মন্তব্য করেন।

পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে জেলেনস্কি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বয়কারী গ্রুপে থাকবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। ট্রাম্প যখন হোয়াইট হাউসে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তখনই এ সমন্বয় কাঠামোতে সবার সম্মতি হয়।

প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্প্রতি কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করেছেন। এর অংশ হিসেবে গত সপ্তাহে আলাস্কায় ট্রাম্প–পুতিন বৈঠক এবং সোমবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প, জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিটও নিশ্চিত করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ইউক্রেনকে নিয়ে পুতিন–জেলেনস্কি বৈঠক আয়োজনের কাজ এগিয়ে চলছে।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি