
বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটি কমিয়ে জেলায় তিনটি সংসদীয় আসন করার প্রস্তাবের প্রতিবাদ এবং ৪টি আসন বহাল রাখার দাবিতে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে বাগেরহাট প্রেস ক্লাবে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন জেলা বিএনপি ও সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির আহবায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম।
এ সময় জেলা জামায়াত ইসলামীর আমির মাওলানা রেজাউল করিম, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ, সেক্রেটারি মাওলানা ইউনুস আহমেদসহ সর্বদলীয় কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ঘোষিত তিন দিনের কর্মসূচি অনুযায়ী- ২১ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কাটাখালি থেকে নওয়াপাড়া মহাসড়ক অবরোধ, ২৪ আগস্ট রোববার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খুলনা-মাওয়া মহাসড়কের নওয়াপাড়া, কাটাখালি, ফকিরহাট, মোল্লাহাট সেতুতে, পিরোজপুর-বাগেরহাট মহাসড়েরক সাইনবোর্ড মোড়ে অবরোধ কর্মসূচি এবং জেলা প্রশাসক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তরে অবস্থান কর্মসূচি।
এছাড়া সোমবার একই সময়ে ঢাকায় নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন এটিএম আকরাম হোসেন তালিম।
তিনি বলেন, বাগেরহাটের ৪টি আসন বহাল রাখার বিষয়ে আমরা সব দল একসঙ্গে হয়েছি। আসন বহাল রাখার জন্য আমরা সবকিছু করতে রাজি আছি।
সম্মেলনে উপস্থিত সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির সদস্য সচিব জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মো. রেজাউল করিম বলেন, আসন কমানোর এ প্রস্তাব একটি প্রকল্পিত ষড়যন্ত্র। নির্বাচন কমিশন যদি এই প্রস্তাব থেকে ফিরে না আসেন, তাহলে এত কঠিন আন্দোলন করা হবে। যার সামাল দেওয়ার সক্ষমতা নির্বাচন কমিশন নেই।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম বলেন, ৪টি আসন থেকে ৩টি আসন করা হলে জেলাবাসী নানাভাবে বঞ্চিত হবে। নির্বাচন কমিশন যদি ৪টি আসন বহাল না রাখেন, তাহলে বাগেরহাটকে বিচ্ছিন্ন কর দেওয়ার ঘোষণা দেন।
দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাটে ৪টি আসন ছিল। ৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের ৪টি আসনের মধ্যে একটি অংশ কমিয়ে জেলায় ৩টি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এরপর থেকেই বাগেরহাট জেলাবাসী ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে। একের পর এক কর্মসূচি দিতে থাকে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি।
এর অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল, জেলা প্রশাসক ও নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান এমনকি ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনও করেছেন বাগেরহাটবাসী।
আসন কমানো অথবা বহাল রাখার বিষয়ে ২৫ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।