Image description

ফাহাম আব্দুস সালাম

আমি মাঝে মাঝেই ভাবি - শেখ পরিবারটা আসলে কী ধরনের পরিবার? আমি রাজনীতির কথা বলছি না। জাস্ট স্বাভাবিক বাঙালি মুসলমান পরিবার হিসাবে বিবেচনা করি।
আমি আমার জীবনে এর চেয়ে ডিসফাংশনাল কোনো পরিবার আসলেই দেখি নাই। এই পরিবারের যেকোনো সদস্য যদি একটা স্বাভাবিক বাঙালি মুসলমান পরিবারের সাথে একই ছাদের নীচে দুই-বছর থাকে - এরা মনে করবে যে বিদেশে এসেছে। এতোটুকু বিরাগ থেকে বলছি না - এই পরিবারে যে লোকটা ভালো - সেও এট লীস্ট একটা নিমচোত।
পিওর সেন্সে একটা অভিশাপগ্রস্থ পরিবার।
আমার ভাইয়ের এক বন্ধু, ছোটোবেলায় ধানমন্ডিতে জয়ের সাথে সাইকেল চালানো বাডি ছিলো বলে বাড়ীতে যাতায়াত করতো। উনি বলছিলেন যে জীবনে তিনি প্রথম শোনেন এবং জানতে পারেন যে একটা মেয়ে বাচ্চা তার মা'কে মাদারচোত বলে সম্বোধন করতে পারে। ঘটনাটা ৮৩-৮৪ সালের। সত্যবাদিতার জন্য মেয়েটিকে ১০/১০ দিচ্ছি কিন্তু মনে রাখবেন যে একটা ৮/৯ বছরের মেয়ে তার মা'কে সেই গালি দিচ্ছে যেটা ফাহাম আব্দুস সালামও ঐ মেয়ের মা'কে না দেয়ার ভান করে।
একটা ঘটনা আমি একাধিক জায়গায় শুনেছি কিন্তু নিশ্চিত হতে পারি নাই। জয় ৯৩/৯৪ সালে মহাখালী ব্র্যাক বিল্ডিং এর কাছে কোথাও মদ্যপ অবস্থায় গাড়ী চালিয়ে দিয়ে কাওকে মেরে ফেলেছিলো। এই পার্টটা আমি শুনেছি বাংলাদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত একজন সাংবাদিক ও সম্পূর্ণ আনরিলেটেড তৎকালীন একজন ছাত্রলীগ নেতার কাছে যিনি জয়ের কাছাকাছি মানুষ ছিলেন (এই দুইজনের মাঝে কোনো সম্পর্ক নাই)। খালেদা জিয়াই নাকি তখন জয়কে এমেরিকা পাঠানোর জন্য সাহায্য করেন (দ্বিতীয় পার্টটা শুনেছি শুধু ঐ সাংবাদিকের কাছে)।
মিলিট্ৰির বহু মানুষ জানে যে হাসিনা, প্রথম দফায় প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ওয়াজেদ মিয়াকে সিএমএইচে বন্দী করে রেখেছিলো। ওয়াজেদ মিয়া এতোটাই ক্ষিপ্ত হয়েছিলো যে ২০০১ এ বিএনপি ক্ষমতায় আসলে উনি বিএনপিতে জয়েন করতে চেয়েছিলেন। আপনারা জেনে আশ্চর্য হবেন যে খালেদা জিয়া - এটা আটকেছিলেন। তিনি ওয়াজেদ মিয়াকে বিএনপিতে জয়েন করতে মানা করেন - কারণ পারিবারিক তিক্ততা তিনি রাজনীতির ময়দানে আনতে চান নাই। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এতোটুকু ডিসেন্সি এক সময় ছিলো কিন্তু।
খেয়াল করে দেখবেন যে এই পরিবারের ডানে-বামে প্রত্যেকটা ডাকাত। প্রত্যেকটা।
ডাকাত বললে আসলে ভুল বলা হয়। ডাকাতি করতে প্রচুর সাহস লাগে। ফকিন্নির পুতগুলার একটারও সাহস নাই। এতো হেডাম - তো পালাইলি কেন? পুরা পরিবারটাই ভিক্ষুকের জাত। কেউ নিজের ভাগ্য নিজে গড়তে পারে নাই। একে ঠেক দিয়ে - ওকে ঠেক দিয়ে লুটের টাকায় ফুটানি।
................................
টিউলিপের পলিটিকাল ক্যারিয়ার প্রায় শেষ। বিভিন্ন প্রতিবেদনে যা দেখি আমি আশ্চর্য হয়ে যাই। লন্ডনকেও এরা শেখের পট্টি বানিয়ে ফেলেছিলো। একটা ১৯ বছরের মেয়েকে দুনিয়াতে কে ফ্ল্যাট উপহার দেয়? তাও যদি তুই দেখতে হইতি মধুবালার মতো - এট লীস্ট বোঝার চেষ্টা করতাম। ফকিন্নীগুলো চেকও করে না এই ফ্ল্যাট কে, কোন টাকা দিয়ে কিনেছিলো? টাকা দেখলেই এগুলি শেখ মুজিব হয়ে যায়।
আপনারা কি ব্রিটিশ মিডিয়া ফলো করছেন? করা উচিত।
BTW- প্রথম আলো! একটু মাস্টারি করি - কেমন?
ট্যাক্স হেভেন মানে কর স্বর্গ না - যেটা আপনারা আজকে লিখেছেন। বানানটা Tax havens - heaven না। haven মানে হোলো 'আশ্রয়স্থল' - 'স্বর্গ' না। এই হেভেনে একটা নেগেটিভ দ্যোতনা আছে - যেটা Heaven শব্দটার মাঝে নাই। যেমন Over the years মাকসূদ had provided a haven for dogs and cats. কিংবা
শুয়োরের বাচ্চাদের safe haven শেখের পট্টি আজ তার কার্যকারিতা হারিয়েছে। ওরা সব পালিয়ে গেছে।
.............................
আপনারা টিউলিপের ফিন্যানশিয়াল ইতিহাসটা ফলো করেন। ইংল্যান্ডে বের হচ্ছে। পুরা পরিবারটাই এক আশ্চর্য জাদুর পরিবার। কেউ কোনো কাজ করে না। কিন্তু সবাই আলট্রা রিচ। শুধু প্রোফেশনালি লুটপাট করে। ২০০৯ সালে টিউলিপের বোন আজমিনাকে একটা ফ্ল্যাট উপহার দেন মঈন গনি। আমি শিওর - এই মঈন গনিও একটা ডাকাত। আজমিনার বয়স তখন ১৮ বছর। সে সময় তাঁর কোনো আয়রোজগার ছিল না। কিন্তু ফ্ল্যাটের দাম মিলিয়ন ডলারের উপর।
কাজটা দেখেন। মিসকিনপান্তি এদের রক্তে। উপহার দিলো লি'ল শেখ - আজমিনাকে। বুঝলাম তুই আপাহেজ - কিছু পারোস না - তাই ডাকাতির ফ্ল্যাটে তোকে থাকতে হয়। কিন্তু বড় বোন একটু থেকে নিচ্ছে। টিউলিপের কথা: তুই কেন একা খাবি? আমো খাবো।
আবার কীরকম চাল্লুবান্টি দেখেন? সরকার জিজ্ঞেশ করলে সে বলবে - আমি গরীব, কিচ্ছু নাই আমার, নদীর ধারে আমি থাকি। তাই আমি আমার বোন আজমিনার বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছি। আমি প্রায় নিশ্চিত, মঈন গনিকে এই বেটিই বলছিলো। ফ্ল্যাটটা ওর নামে লিখে দেন। তাহলে আমি আরো নিবিড়ভাবে ভোগ করতে পারবো।
.....................................
দ্যা গ্রেট বৃটেনের আজকে এতোটাই মাজুল অবস্থা যে শেখের পট্টির একটা লোয়েস্ট শেখ তাদের পার্লামেন্টে যায়। আমাদের পূর্বপুরুষের বদদোয়া লাগছে, তিতুমীরের অভিশাপ লাগছে।
ব্যাপারটা আমি ইনজয় করতিছি। আরো অনেক ঘাটাঘাটি হৌক। ইন্ডিয়া-পাকিস্তান-বাংলাদেশের মিলিত শক্তি - আমার কনফিডেন্স আছে যে - দ্যা গ্রেট বৃটেনকে শুধুমাত্র ব্রিটেনে পরিণত করেই ছাড়বে। লন্ডন এখন মাশাল্লাহ পুরাপুরি একটা থার্ড ওয়ার্ল্ড কান্ট্রির ক্যাপিটাল। ফিজিকালি - লন্ডনের অবস্থা বহু বহু থার্ড ওয়ার্ল্ড কান্ট্রির নীচে আসলে।
হেব্বি হবে। শাদারা বুঝুক! বইঙ্গাকে উপনিবেশ করার প্রায়শ্চিত্ত তাকে যুগ-যুগ ধরে করতে হবে।
খায়া দিম।