Image description
 

বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এস ওয়াই রামাদান অভিযোগ করেছেন, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের বৃত্তির নামে কাতার সরকারের কাছ থেকে বছরে ৩০ লাখ ডলার দাবি করেছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ করেন রাষ্ট্রদূত।

বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রদূত জানান, ২০২৩ সালে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন ৫০০ ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়ার প্রস্তাব করে। তবে তদন্তে দেখা যায়, এ উদ্যোগের আড়ালে ছিল অর্থ সংগ্রহের পরিকল্পনা। এতে সরাসরি জড়িত ছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, যিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যও ছিলেন।

রাষ্ট্রদূত দাবি করেন, কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে ২০০ ফিলিস্তিনি ছাত্রীর জন্য পাঁচ বছরের মেয়াদে বছরে ৩০ লাখ ডলার চাওয়া হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে কাতার এতে সম্মতি দিলেও পরবর্তীতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ কাতারের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়।

 

এছাড়া রাষ্ট্রদূত অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য চেরি ব্লেয়ার (সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের স্ত্রী) এর চাপেই দীপু মনি বৈঠক করেছিলেন। অথচ টনি ব্লেয়ারের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনে জাতিগত নিধনকে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

 

রাষ্ট্রদূত আরও দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা কামাল আহমেদের সঙ্গে ‘কোগেট’ নামক একটি সংস্থার সম্পর্ক আছে, যারা ফিলিস্তিনিদের স্থায়ীভাবে গাজা ছাড়তে বাধ্য করার পরিকল্পনা করছে। এর ফলে আশঙ্কা ছিল, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা আর কখনো নিজ দেশে ফিরতে পারবে না।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এমন কিছু দেশ ও সংস্থার সম্পর্ক রয়েছে যারা ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে। এসব কারণে ফিলিস্তিনি সরকার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি প্রত্যাখ্যান করে এবং ছাত্রীদের ভিসাও বাতিল করে।

সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রদূত বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করে বলেন, “ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা রক্ষা এবং আমাদের পণ্য বাংলাদেশে আমদানির সুযোগ তৈরি করায় আমরা কৃতজ্ঞ।”