
পাচারের জন্য রুট পরিবর্তন করেছে পাথর লুটকারীরা। অভিযোগ উঠেছে, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা এবং সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সীমান্তবর্তী শিল্পনগরী ছাতককে এখন পাচারের নতুন রুট হিসেবে ব্যবহার করছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। প্রশাসন অভিযান চালানোর পর সড়কপথে পাথর না নিয়ে নদীপথ দিয়ে লুটের পাথরগুলো পাঠানো হয়েছে ছাতকে। সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গা পাঠানো হচ্ছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, কোম্পানীগঞ্জের একাধিক প্রভাবশালী বালু-পাথর ব্যবসায়ী বর্তমানে ছাতকে স্থায়ীভাবে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভোলাগঞ্জ থেকে নৌপথে বিপুল পাথর এনে ছাতকের বিভিন্ন এলাকায় গোপনে মজুদ করা হচ্ছে। পরে এসব মজুদকৃত পাথরের সঙ্গে লুট করে আনা সাদা পাথর মিশিয়ে জাহাজ ও নৌকার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভোলাগঞ্জ থেকে নিয়মিতভাবেই নৌকায় করে পাথর আনা হয় ছাতকে। এদের অনেকেই লুট করা পাথরকে বৈধ পাথরের সঙ্গে মিশিয়ে পাচার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতের অন্ধকারে অব্যাহত রয়েছে পাথর পাচার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ছাতক বর্তমানে লুট হওয়া পাথর পাচারের জন্য সবচেয়ে ‘নিরাপদ’ রুটে পরিণত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার অভাব এবং স্থানীয় প্রভাবশালীদের মদদেই এ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ছাতক থানার ডিউটি অফিসার এসআই মাসুদ মিয়া কালবেলাকে বলেন, পাথরগুলো ছাতকে আসার বিষয়ে আমার জানা নেই। কোনো বক্তব্য নিতে হলে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।