
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত ‘চলন বিলে কেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়’ শিরোনামের সংবাদকে কেন্দ্র করে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় সচেতন মহল তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পত্রিকাটি বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে।
শনিবার সকালে শাহজাদপুর স্বার্থরক্ষা কমিটি মনিরামপুর বাজারের তিনমাথা মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। এতে কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন ও সদস্য সচিব আমি হোসেন সবুজ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, সংবাদটি শাহজাদপুর বিদ্বেষী ও ষড়যন্ত্রমূলক। এ সময় প্রথম আলো পত্রিকা প্রতীকীভাবে পুড়িয়ে এবং পায়ে মাড়িয়ে বয়কটের ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে স্বার্থরক্ষা কমিটির নেতারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গিয়ে চলমান আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন।
অন্যদিকে, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও শনিবার সকাল ১০টা থেকে অস্থায়ী একাডেমিক ভবন-৩ এ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ঘন্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। শিক্ষার্থীরাও ওই সমাবেশে যোগ দিয়ে সংবাদটির প্রতিবাদ জানান।
বক্তারা বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নির্ধারিত বর্তমান স্থান বুড়ি পোতাজিয়া মৌজায়, যা চলনবিল থেকে প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার দূরে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হলে চলনবিল বা পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে না। অথচ প্রথম আলো পত্রিকা ভ্রান্ত তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্যই শাহজাদপুরেই প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। এ দাবি অমান্য হলে আগামীতে ‘কাফনের কাপড় পরে’ আন্দোলনে নামা হবে। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথম আলো বরাবর আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদলিপি পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে।