Image description

খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আঞ্চলিক সংগঠন মগ লিবারেশন পার্টির (এমএলপি) এক সদস্যের গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। এ সময় পালাতে দু’তলা থেকে লাফ দেন কংচাইঞো মারমার (৩১) নামের ওই সদস্য। এতে তার মৃত্যু হয়।

শুক্রবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে জেলার শান্তিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কংচাইঞো মারমা মহালছড়ির এলাকার অংসাজাই মারমার ছেলে ও এমএলপির সশস্ত্র শাখার প্রধান ছিলেন। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মানিকছড়ি উপজেলার গাড়িটানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এক যুবককে আটক করে সেনাবাহিনীর সিন্দুকছড়ি জোন। তার কাছ থেকে ২টি অস্ত্র ও পাঁচটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যর ভিত্তিতে শান্তিনগর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে কংচাইঞো মারমা একটি দুতলা ভবনের ছাদ থেকে ১টি গুলি করেন। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা পাল্টা গুলি ছুড়লে কংচাইঞো মারমা ওই ছাদ থেকে লাফ দেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও ৫টি গুলি উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক কংচাইঞোকে মৃত ঘোষণা করেন।  

খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক দিপা ত্রিপুরা বলেন, সকালে সেনাবাহিনী একজনকে নিয়ে আসে। হাসপাতালে আনার আগে তার মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরে উঁচু অংশ থেকে পড়ে যাওয়ার আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।

শান্তিনগরের ওই দুতলা ভবনের মালিক সুজিত দে। তিনি জানান, তার ভাগনি মারা গেছেন। এ কারণে বৃহস্পতিবার রাত থেকে তারা কেউ বাড়িতে ছিলেন না। খবর পেয়ে বাসায় গিয়ে দেখেন ভাড়াটিয়ার বাসার সব জিনিসপত্র এলোমেলো হয়ে আছে। 

সুজিত দে বলেন, দেড় বছর আগে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাসা ভাড়া নেন কংচাইঞো। ওই সময় তিনি বিএসআরএম কোম্পানিতে চাকরি করতে বলে জানিয়েছিলেন। স্ত্রী-সন্তান নিয়মিত বাসায় থাকলেও মাঝে মধ্যে আসতেন কংচাইঞো।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, হাসপাতাল থেকে বিষয়টি জানানোর পর পুলিশ সুরতহাল করেছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। তবে এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কিছু জানানো হয়নি। অভিযান এখনও চলমান। পরবর্তী সময়ে বিস্তারিত জানানো হবে।