
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে প্রশাসনের দেয়া নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের অভিযোগ উঠেছে।
রসায়ন বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে বেপরোয়া আচরণ ও হামলার অভিযোগে গত ১৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ওইদিন দুই শিক্ষক ও কয়েকজন শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও প্রায়ই তাকে ক্যাম্পাসে দেখা যায়। “তার হামলার ঘটনার পর প্রশাসন তাকে নিষিদ্ধ করেছে। তারপরও সে কীভাবে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে? এতে আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে,” বলেন এক শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে মুঠোফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে, সব নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেখা যায় তাকে। ক্যাফেটেরিয়ায় বসে অনুসারীদের নিয়ে আড্ডা দিতে এবং মূল ফটকেসহ বিভিন্ন জায়গায় নেতাকর্মী নিয়ে জটলা সৃষ্টি করতে দেখা যায় তাকে।
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, “আজ আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে মসজিদে দোয়া মাহফিল ছিল। সেখানে সে এসেছিল। দোয়া মাহফিল তো সবার জন্য উন্মুক্ত। এখানে আসায় সমস্যা নেই।”
এ বিষয়ে জবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. তাজাম্মুল হক বলেন, “আমি যতটুকু জানি, তদন্ত কমিটি চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার আগ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। এখনও রয়েছে। তবে তদন্ত কমিটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে কিনা তা আমি নিশ্চিত বলতে পারছিনা।”
প্রসঙ্গত, গত ১০ জুলাই বিকেলে শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের নিচে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রফিক বিন সাদেক রেসাদকে মারধরের অভিযোগ ওঠে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। তারা রফিকের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলেছিলেন।