Image description

ঢাকার পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের প্লট দুর্নীতির তিন মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে আজ থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হচ্ছে। ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এসব মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ করবেন।

এর আগে, গত ৩১ জুলাই বিশেষ জজ আদালত পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের প্লট দুর্নীতির মামলায় শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার সঙ্গে তাদের সন্তানসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এর মধ্যে তিন মামলায় শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১১ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়েছে।

প্লট দুর্নীতির আরও তিন মামলায় শেখ রেহানা, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৩ আগস্ট দিন ধার্য রয়েছে।

গত ডিসেম্বরে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে তাদের নামে ১০ কাঠা করে ছয়টি প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এরপর ১২ জানুয়ারি প্লট বরাদ্দের ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহার ও নিয়মবিরুদ্ধ অভিযোগে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা করে সংস্থাটি। পরদিন শেখ রেহানা, তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক।

এরপর ১৪ জানুয়ারি শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুদক। এই ছয় মামলাতেই শেখ হাসিনাকে আসামি করা হয়েছে। অন্যদের কেউ কেউ একাধিক মামলার আসামি।

সব মিলিয়ে ছয় মামলার আসামির সংখ্যা ২৩। তার মধ্যে শেখ পরিবারের বাইরে রয়েছেন ১৬ জন আসামি। তারা হচ্ছেন — জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লাহ খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সদস্য সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এবং প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন। তার পরিবারের অন্যরাও বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন।