Image description

মসজিদে সারি করে সাজানো রয়েছে বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র। সেগুলো পরীক্ষা করে দেখছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। কয়েকজন গাড়িতে তুলতে ব্যস্ত। এমন একাধিক ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে আলোচিত লেখক তসলিমা নাসরিন দাবি করেছেন, সেগুলো জঙ্গিরা লুট করে মসজিদে রেখেছেন। তার এ দাবি সঠিক নয়। মূলত গত বছরের গণঅভ্যুত্থানের সময় পুলিশের ফেলে যাওয়া অস্ত্র স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে মসজিদে জমা করেছিলেন। পরে সেগুলো সেনাবাহিনী নিয়ে যায়।

শনিবার (৯ আগস্ট) তসলিমা নাসরিন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘মসজিদের আসল কাজ নামাজ নয়, আসল কাজ সন্ত্রাস। আসল কাজ নামাজিদের জঙ্গি দীক্ষায় দীক্ষিত করা, জঙ্গিদের হাতে অস্ত্র দেওয়া, মুক্তচিন্তকদের হত্যা করা। গত বছরের জুলাই আগস্ট মাসে থানার পুলিশদের জবাই করে জঙ্গিরা থানা লুট করে অস্ত্র এনে মসজিদে রেখেছে। এসব উদ্ধার হলো এক বছর পর।’

তিনি বলেন, ‘এক বছরে বাড়ি বাড়ি এত যে  চুরি ডাকাতি ছিনতাই হলো, ওসবে তো এসব অস্ত্রই সম্ভবত ব্যবহার হয়েছে। মসজিদগুলো বন্ধ করে দেওয়া উচিত। মসজিদের বিল্ডিংগুলোকে বিজ্ঞান ক্লাব, পাঠাগার, প্রেক্ষাগৃহ, নারী-অধিকার সংস্থা, গানের স্কুল, নাচের স্কুল, নাটকের স্কুল, মুক্তচিন্তা বিকাশ কেন্দ্র, মিউজিয়াম ইত্যাদি বানানো হোক। সমাজের মঙ্গল হবে।’

তসলিমা নাসরিনের এসব তথ্য পুরোপুরি মিথ্যা বলে জানিয়েছেন ফ্যাক্টচেকার ও সাংবাদিক কদরুদ্দিন শিশির। তিনি তসলিমা নাসরিনের পোস্টটি ফেসবুকে শেয়ার করে লিখেছেন, ‘এই আপা অসত্য তথ্য দিলেন। এগুলো ২০২৪ এর ৭ আগস্টের ছবি। খিলগাঁও থানায় দুই দিন আগে হামলার পর অস্ত্র ফেলে ভেগেছিল পুলিশ। তখন স্থানীয়রা অস্ত্রগুলো নিয়ে স্থানীয় মসজিদে রাখেন।’

তিনি বলেন, ‘৭ তারিখ (সরকার গঠনের আগেই) সেনাবাহিনী ডেকে সেই অস্ত্র জমা দেন স্থানীয়রাই। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এসব ছবি, ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু তসলিমা আপার এসবের খবর রাখার দরকার নেই।’