
৩০ জুন সন্ধ্যায় রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডে পুরাতন জেলখানাসংলগ্ন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল মোরশেদ আলম তানিম (১৮)। সেখানে দুই ছিনতাইকারী পেছন থেকে এসে তাকে ধরে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তানিম বাধা দিলে তার পেটে চাকু মারে ছিনতাইকারীরা। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ জুলাই ভোরে মারা যান তিনি। এছাড়া ১৭ জুলাই রাত সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর নিউ মডেল বহুমুখী হাইস্কুলের বিপরীত পাশে চাপাতি দেখিয়ে ছিনতাই করার ঘটনা যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, চাপাতি দিয়ে ভয় দেখিয়ে এক যুবকের কাছ থেকে ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এক ব্যক্তি। পরে মূল সড়কে এসে ট্রাফিক পুলিশের পাশ দিয়েই চলে যাচ্ছে ওই ছিনতাইকারী।
শুধু পুরান ঢাকা বা ধানমন্ডি নয়, মগবাজার, মোহাম্মদপুর, লালমাটিয়া, মিরপুর, উত্তরা, গুলশানসহ ঢাকা নগরীর প্রায় সব স্থানেই প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় ছিনতাইয়ের ঘটনা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, রাজধানীবাসীর কাছে এখন ছিনতাই এক আতঙ্কের নাম। সন্ধ্যা নামলেই তৎপরতা বাড়ে ছিনতাইকারীদের। সড়কের ফুটপাতে চলার পথে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে নেওয়া হচ্ছে সর্বস্ব। যানবাহন থামিয়েও প্রকাশ্যে ছিনতাই করা হচ্ছে। ছিনতাইকারীদের চাকু বা খুরের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে প্রাণও দিচ্ছেন অনেকে। তবে অবাক করার বিষয় হচ্ছে-রাজধানীর এসব ছিনতাইকারীর বেশির ভাগই পুলিশের তালিকাভুক্ত। এমনকি কে কোন এলাকায় থাকে, তার বিস্তারিত তথ্য রয়েছে পুলিশের কাছে। শুধু তাই নয়, এই মুহূর্তে ৯৭২ জন ছিনতাইকারী যে সক্রিয়-সেই তথ্য আছে। এই এরপরও কেন ছিনতাইকারীদের অবাধ বিচরণ-এমন প্রশ্ন সংশ্লিষ্ট সবার।
পুলিশের একটি বিশেষায়িত ইউনিটের তৈরি তালিকা থেকে পাওয়া গেছে ছিনতাইকারীদের উল্লিখিত তথ্য। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। এমনই এক ছিনতাইকারী সুমন বাবুর্চি। তার বাবার নাম আলী বাবুর্চি। রাজধানীর দারুসসালাম থানাধীন জহুরাবাদে বাসা। এক যুগের বেশি সময় ধরে নিয়মিত ছিনতাই করে সুমন বাবুর্চি। দিয়াবাড়ি বেড়িবাঁধ এলাকা ছাড়াও ধানমন্ডি এলাকায় তার অবাধ বিচরণ। ছিনতাইয়ের ঘটনায় দারুসসালাম থানা পুলিশের কাছে প্রথম গ্রেফতার হন ২০১৪ সালের ২২ জুন (মামলা নম্বর-২৮)। পরে ধানমন্ডি ও দারুসসালাম থানা এলাকায় ২০১৫, ২০১৭, ২০২০, ২০২১ ও ২০২৩ সালে ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় সুমন বাবুর্চি। প্রতিবারই জামিনে মুক্ত হয়ে ফের জড়িয়েছে ছিনতাইয়ে। ডিএমপির দারুসসালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিব-উল-হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ‘সুমন বাবুর্চিকে গ্রেফতার করে একাধিকবার চালান দিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ছিনতাইয়ের কোনো ঘটনায় কেউ জড়িত থাকলে বা সন্দেহভাজন হলে তাকে গ্রেফতার করে চালান দিয়ে থাকি। এরপর সাক্ষ্যপ্রমাণ থাকলে চার্জশিটও দিই। এদের অনেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে ফের ছিনতাই শুরু করে।’
ছিনতাইকারীর তালিকা ঘেঁটে দেখা গেছে, মতিঝিলের ত্রাস মো. বাবুল। কমলাপুর রেলস্টেশন, খিলগাঁও রেলগেট ও মালিবাগ এলাকার ছিনতাইয়ের নিয়ন্ত্রক সে। এক দশকের বেশি সময় ধরে ছিনতাই করে চলেছে বাবুল। তার বিরুদ্ধে ডিএমপির শাহজাহানপুর থানায় ২০১৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তিনটি ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। একই এলাকার চিহ্নিত ছিনতাকারী মো. শাহাদত ও ভাতে মরা রবিন। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে তিনটি করে ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। একই এলাকার ছিনতাইকারী শাওন গাজী ও বিল্লাল ওরফে ওস্তাদ বিল্লালের বিরুদ্ধে দুটি করে ছিনতাই মামলা রয়েছে। জানতে চাইলে শাহজাহানপুর থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ‘আমরা এসব ছিনতাইকারীদের অনেককেই তিন থেকে চারবার গ্রেফতার করে চালান করেছি। কিন্তু তারা জামিনে বের হয়ে ফের ছিনতাইয়ে যুক্ত হয়। আমাদের কাজ এদের (ছিনতাইকারীদের) ধরা আর জামিন দেওয়ার মালিক কোর্ট।’
পুলিশের বিশেষায়িত ওই ইউনিটের তালিকায় দেখা গেছে, রাজধানীতে সবচেয়ে বেশি ছিনতাইকারীর অবস্থান তেজগাঁও ও মিরপুর বিভাগে। এ দুটি বিভাগে ৩৮০ ছিনতাইকারীর নাম উঠে এসেছে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে। এর মধ্যে ২২৩ ছিনতাইকারীর অবস্থান তেজগাঁও বিভাগে। এছাড়া রমনা ও লালবাগ বিভাবে ২২০, ওয়ারী ও মতিঝিল বিভাগে ২০৫, গুলশান ও উত্তরা বিভাগে ১৬৭ জন ছিনতাইকারী দাপিয়ে বেড়ায়।
জানতে চাইলে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, ‘আমরা নিয়মিত ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করছি। পরে অনেকে জামিনে বের হয়ে একই অপরাধ করছে।’
তবে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মুহাম্মদ সামছুদ্দোহা সুমন যুগান্তরকে বলেন, পুলিশের ত্রুটিপূর্ণ মামলার কারণে অনেক ছিনিতাইকারী জামিন পেয়ে যায়। যদিও সিএমএম কোর্ট এখন জামিন দিচ্ছেন না। এ ব্যাপারে আমরা রাষ্ট্র পক্ষ থেকে সব সময় সচেতন আছি। তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায় পুলিশ আটক করে নতুন মামলা না দিয়ে পুরাতন মামলায় গ্রেফতার দেখায়। যার ফলে মামলার এজাহারের ঘটনার সঙ্গে ছিনতাইকারীর সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় না। এই সুযোগে অনেক ছিনতাইকারী জামিন পেয়ে যায়। এছাড়া ঢাকায় বর্তমানে যে পুলিশ সদস্যরা আছেন তারা অনেকেই ঢাকার বাইরে থেকে এসেছেন। ঢাকার পরিস্থিতি এখনো বুঝে উঠতে পারেননি তারা।
সূত্র বলছে, রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকাকে বলা হয় ছিনতাইয়ের হাব। এ এলাকায় ছিনতাইয়ের লোমহর্ষক অনেক ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। পুলিশের ছিনতাইকারীর তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তেজগাঁও বিভাগের বিভিন্ন থানায় ২০২২ সালে ২২৩ ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এসব আসামিই ঘুরেফিরে ছিনতাই করে তেজগাঁও ও মোহাম্মদপুর এলাকায়। তবে পুলিশ বলছে, ২০২২ সালের পরও অন্তত শতাধিক ছিনতাইকারী এ এলাকায় আস্তানা গেড়েছে।
মোহাম্মদপুর থানা এলাকার তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারীদের মধ্যে রয়েছে-চন্দ্রিমা মডেল টাউনের বাসিন্দা রাফসান হোসেন আকাশ, জেনেভা ক্যাম্পের মো. ইমতিয়াজ, আহম্মেদ হোসেন, মো. তাজ উদ্দিন; চাঁদ উদ্যান এলাকার ভাসমান মো. বাবলা ওরফে শাকিল, বাঁশবাড়ীর বাসিন্দা মো. মাসুদ পারভেজ। মোহাম্মপুর কৃষি মার্কেট ক্যাম্পের মো. আরমান ও মো. গনি। মোহাম্মদপুরের মো. বাদশা, মিরপুর দশ নম্বরের বাসিন্দা মো. রাজু, মোহাম্মদপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থান এলাকার বাসিন্দা মহিউদ্দিন, চাঁদ উদ্যান এলাকার মো. পারভেজ, হাজারীবাগের বৌবাজারের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন দুলু, রায়ের বাজার আজি খান রোডের রাসেল হাওলাদার, কাটাসুর এলাকার ভাসমান মো. শাকিল, আগারগাঁও ৯ নম্বর রোডের বাসিন্দা মো. আলামিন। এছাড়া হাজারীবাগের মো. রাব্বি প্রমুখ।
তেজগাঁও থানা এলাকার ছিনতাইয়ের হটস্পটের মধ্যে অন্যতম সোনারগাঁও ক্রসিংয়ের সামনের এলাকা। এখানে চিহ্নিত ছিনতাইকারীদের মধ্যে অন্যতম বরিশালের বাকেরগঞ্জের আমতলী গ্রামের মো. শরীফ। সে বর্তমানে রাজধানীর কাওরান বাজারের ভাসমান। নোয়াখালীর সেনবাগ থানার ইটবাড়ি গ্রামের মো. সাব্বির। বর্তমানে তেজগাঁও তেজকুনিপাড়া এলাকায় থাকেন সাব্বির। এছাড়া নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার লদুরচর গ্রামের মো. রাসেল (বর্তমান বাসা তেজগাঁও তেজকুনিপাড়া)।
পুলিশের তালিকা অনুযায়ী কাওরান বাজার সিএ ভবনের সামনে সক্রিয় ছিনতাইকারীদের মধ্যে আছে-মাদারীপুরের কালিকাপুরের মেহেদী হাসান ওরফে সালমান শরীফ, বরিশালের হিজলা থানার আবুপুর গ্রামের মো. জমি আহম্মেদ, বরিশালের মুলাদী থানার চরমারিয়া ইমন ইসলাম মাসুদ। তারা বর্তমানে তেজগাঁওয়ের তেজকুনিপাড়ায় বাস করে। তেজগাঁও রেলস্টেশনের আশপাশের চিহ্নিত ছিনতাইকারীদের মধ্যে আছে, হাফিজ উদ্দিন (ফার্মগেটে ভাসমান), মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম (তেজগাঁওয়ের কাজীপাড়ায়) বাস করে। ফার্মগেট আনন্দ সিনেমা হলের আশপাশের এলাকার ছিনতাইকারীদের মধ্যে অন্যতম মো. সোহেল, সাইফুল ইসলাম মিশু ও সজীব খান নয়।
জানতে চাইলে তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান যুগান্তরকে বলেন, পুরাতনদের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে নতুন কিছু উদীয়মান ছিনতাইকারী যুক্ত হয়েছেন। অনেককে আমরা গ্রেফতার করি। কিন্তু ওই জায়গাগুলো দখল করতে সাভার, কেরানীগঞ্জ থেকে অনেক ছিনতাইকারী আসে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের যে তালিকা আছে সেই তালিকা এবং তালিকার বাইরেও লোকালি আমাদের যে সোর্স নিয়োগ কিংবা গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা ছিনতাইকারীদের অবস্থান নির্ণয় করে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করি। তাদের আমরা আইনের আওতায়ও আনি।
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় পুলিশের তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারীদের মধ্যে রয়েছে-আসলাম মিয়া, পিচ্চি জনি, নাটাই সোহেল, রাসেল, মিলন, শাহীন, সাইফুল ইসলাম, আতিকুর রহমান সুমন, রুবেল ওরফে সোলেমান, সাইফুল, উজ্জ্বল, আব্দুর রউফ, মো. সুজন, মো. সাগর, সজল, জুয়েল, কৌশিক সরদার, শাহীন আলম ও মহিউদ্দিন।
মিরপুরের শাহআলী থানা এলাকার ছিনতাইকারীদের মধ্যে অন্যতম-রূপনগরের তানভীর, পল্লবীর নয়ন ও শুভ, সাভারের সুজন শেখ, মানিকগঞ্জের ফারুক হোসেন। কল্যাণপুর এলাকায় সক্রিয় রয়েছে-রমজান আলী, রিপন, রাকিব; গাবতলী এলাকার-সজীব, জাফর, লিমন; পল্লবী এলাকায়-ফয়সাল, হাবিবুর রহমান, আক্তার, শান্ত, নাদিম।
গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়া, বাবুবাজার ব্রিজ, নয়াবাজর, তাঁতীবাজার এলাকায় সক্রিয় ছিনতাইকারীদের মধ্যে রয়েছে-মুগদার শাওন, কেরানীগঞ্জের ফারুক, মুন্সীগঞ্জের জয়, কেরানীগঞ্জের ইয়ামিন হোসেন রাজু, কহিনুর বেগম, ফুলবাড়িয়ার লোকমান পাঠান প্রমুখ।
ছিনতাইয়ে নতুন মুখ : পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিটের ছিনতাইকারীর ওই তালিকায় একেবারে নতুন কিছু মুখও রয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো মামলা হয়নি। তালিকা ঘেঁটে দেখা গেছে, ৯৭২ ছিনতাইকারীর মধ্যে ২০৭ জনের নামে রাজধানীর কোনো থানায় মামলা নেই। অর্থাৎ ছিনতাইকারীদের ২১.২৯ ভাগই নতুন। মাঠপর্যায়ে কাজ করা পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ছিনতাইয়ে অংশ নেওয়া নতুন মুখই বেশি ভয়ংকর। এরা এক এলাকায় অপরাধ করে অন্য এলাকায় আত্মগোপনে চলে যায়। তাদের খুঁজে পেতে বেগ পেতে হয়। এদের মধ্যে নিউমার্কেট এলাকায় আছে-ওলি, মেহেদী, রাব্বি, ইসমাইল, সোহেল। উত্তরা এলাকার-রিফাত, সাব্বির, সম্রাট, মাহাবুব, মিলন, সাকিব, নাসিম, নাজমুল ইসলাম, পিচ্চি বাবু, জিম, নুর আলী, পরাগ প্রমুখ।
এদিকে নতুন ছিনতাইকারীদের একটি বড় অংশ সাভার ও গাজীপুর থেকে রাজধানীতে এসে ছিনতাই করে ফের চলে যাচ্ছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করেছেন গোয়েন্দারা। গাজীপুর থেকে আসাদের মধ্যে আছে-সুজন, আব্দুল হক, আওয়াল, জলিল, ছুটন, মনির সুজন প্রমুখ। সাভার থেকে আসাদের মধ্যে-আমিরুল, শিপলু, আক্কাস, রেশমা, সুমন, রবিউল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা অন্যতম।
ছিনতাইয়ে যুক্ত নতুন মুখের মধ্যে মতিঝিল ও ওয়ারী বিভাগে সক্রিয়দের মধ্যে অন্যতম, সায়েদাবাদ এলাকার বাসিন্দা মো. লিটন, মুগদা এলাকার মো. সাব্বির হোসেন ওরফে রাজন, আরামবাগের সুমন মিয়া, ভাসমান আতিকুল ইসলাম, এজিবি কলোনির খোরশেদ আলম, শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনির ভাসমান রফিকুল ইসলাম বাবু, ফকিরাপুলের হেলাল, বাগিচা জামে মসজিদ এলাকার মো. রুবেল, হাজারীবাগের সাগর, যাত্রাবাড়ীর মো. সজল। এছাড়া ভাসমান কিছু ছিনতাইকারী আছে মতিঝিল এলাকায়। এদের মধ্যে অন্যতম-রনি, রাসেল, মনির, ইসমাইল, মো. তারেক প্রমুখ।
মিরপুরে ছিনতাইয়ে যুক্ত নতুন মুখের মধ্যে রয়েছে-দারুসসালামের জুয়েল, রবিন, সজীব, সোহেল। শাহআলী এলাকার-শাতীল, জীবন, ইয়াসিন। পল্লবী এলাকার-সুমন, সোহেল, আপন, রবিন, সজলসহ আরও বেশ কয়েকজন।