Image description

ফ্যাসিস্টের শেষ পরিণতি মৃত্যু না হয় পলায়ন; শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে তাই ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

চলমান সংস্কারের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, সংস্কার নিয়ে আমরা যতটুকু জেনেছি তাতে দু-একটি অর্থবহ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ১০ বছরের বেশি সময় কেউ একজন প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। এটা খুবই অর্থবহ। বিগত সময়ে সংবিধানকে এমনভাবে সাজানো হয়েছিল যার মাধ্যমে শেখ হাসিনা ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে পেরেছিলো। কারণ একজন ব্যক্তি যখন আমৃত্যু ক্ষমতায় থাকার সুযোগ লাভ করে তখন সে ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে বাধ্য। সে ফ্যাসিস্ট হবে এটাই নিয়তি; আর ফ্যাসিস্টেরও নিয়তি বা শেষ পরিণতি মৃত্যু না হয় পলায়ন। শেখ হাসিনার ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সেন্টার ফর সিভিল রাইটস কর্তৃক ‘অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা ও আইনগত মর্যাদা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমান।

মাহমুদুর রহমান বলেন, আইনজ্ঞদের মধ্যে আইনগত বিতর্ক থাকতেই পারে কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। কারণ এই সরকার তরুণদের রক্তের বিনিময়ে একটি বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যে সময়সীমা ঘোষণা করা হয়েছে এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কোনো কারণে নির্বাচন না হলে এই সরকারের বিদায় ভালো হবে না। দিল্লি থেকে নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ফলে এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

আমার দেশ সম্পাদক বলেন, ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে এই সরকারের অবস্থান খুবই পরিষ্কার । কারণ ড. ইউনূস মোদির চোখে চোখ রেখে সরাসরি হাসিনাকে ফেরত চেয়েছেন।

মাহমুদুর রহমান বলেন, নির্বাচন নিয়ে দিল্লি থেকে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তি যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে তাহলে ভারত থেকে যতই ষড়যন্ত্র করা হোক না কেন তা ব্যর্থ হবে।

তিনি বলেন, একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে সরকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোকেও আন্তরিক হতে হবে। তারা যদি নির্বাচনে পেশিশক্তি ও কালো টাকার প্রভাবমুক্ত করতে পারে তাহলেই একটি স্বচ্ছ নির্বাচন করতে সক্ষম হবে সরকার।