
চট্টগ্রাম নগরীতে একের পর এক হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ক্ষান্ত হননি গ্রেপ্তার হয়ে কারাবন্দি সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের সহযোগী মোহাম্মদ রায়হান। পান থেকে চুন খসলেই দিচ্ছেন প্রাণনাশের হুমকিও। পুলিশের তালিকায় নাম থাকলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রায়হান। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, খুনসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে রায়হানের নামে নগর ও জেলায় জোড়া খুনসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৩টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি হত্যা মামলা। গত ১৩ জুলাই রাউজানের কদলপুর ইউনিয়নের ইশান ভট্টের হাটে বোরকা পরে এসে যুবদল নেতা মোহাম্মদ সেলিমকে গুলি করে পালিয়ে যাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও রায়হানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে।
গত ২৫ জুলাই চট্টগ্রামের কালুরঘাট এলাকায় মো. রিদুয়ান নামে এক ওষুধের দোকানিকে মোবাইল ফোনে ‘মাথার খুলি উড়িয়ে’ ফেলার হুমকি দেন ‘সন্ত্রাসী’ মোহাম্মদ রায়হান। এরপর থেকে আতঙ্কে দিন কাটছে ওই দোকানির। রায়হানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সূত্র জানায়, ২৪ জুলাই রাতে রিদুয়ানের দোকানের সামনে কিছু ব্যক্তির মধ্যে মারামারি হয়। রায়হান ফোনে অভিযোগ তোলেন, ওই দোকানি লোকজন নিয়ে এসে তার অনুসারীদের মারধর করিয়েছেন। দোকানি জবাবে বলেন, তার সঙ্গে ঝগড়ার সময় বাইরে থেকে কৌতূহলী লোকজন এগিয়ে আসে। এ সময় এসব লোকজন রায়হান অনুসারীদের মারধর করেছে। মারধরের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের কাউকে তিনি চেনেন না।
দোকানি রিদুয়ান জানান, রায়হানের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে কথোপকথন হয়েছে ৫ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড। এর শুরুতেই অপর প্রান্ত থেকে রায়হান অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। এরপর মারধরের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের তার সামনে হাজির করতে বলেন। নইলে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। হুমকির সময় বারবার নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে রায়হান বলেন- ‘আমি ঢাকাইয়া আকবর খুনের মামলার ২ নম্বর আসামি রায়হান, মাথার খুলি উড়ায় ফেলব’।
তিনি বলেন, এক পর্যায়ে চট্টগ্রামের ‘গুন্ডাদের’ ওই দোকানি চেনেন কি না, জানতে চান রায়হান এবং তার পরিচয় না জানলে ‘সাজ্জাদ ভাই’কে জিজ্ঞেস করার কথা বলেন।
এ বিষয়ে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, কালুরঘাটে ব্যবসায়ীকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেওয়া ব্যক্তি সন্ত্রাসী রায়হান। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।