
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর জনগণের প্রত্যাশা ছিল স্বাস্থ্য খাতের রুগ্ণদশা কাটবে। বাড়বে চিকিৎসাসেবার মান, হাসপাতালে ভোগান্তি কমবে সেবাপ্রত্যাশীদের। কিন্তু বাস্তবে তার কিছুই ঘটেনি। অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার চেয়ারে লোকবল পরিবর্তন ছাড়া বদলায়নি এ খাতের চিত্র।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়েছে, ওষুধ মিলছে না কমিউনিটি ক্লিনিকে, হাসপাতালে ভোগান্তি আগের মতোই, বন্ধ আছে সরকারি ১৪টি হাসপাতালে আইসিইউ সেবা। সংকট থেকে উত্তরণে স্বাস্থ্য সংস্কারের প্রতিবেদন এখনো ফাইলবন্দি। এতে জনগণের হয়রানি ও খরচ যেমন বাড়ছে তেমনি এ খাত উন্নয়নে ব্যর্থতার অভিযোগে রাজনীতিকদের সমালোচনায় ক্ষুণ্ণ হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবমূর্তি।
অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগ পাওয়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক থেকে শুরু করে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পদে পরিবর্তন ও রদবদল হয়। কাউকে করা হয় ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা), কাউকে করা হয় বদলি। আবার যারা দেড় দশক নানাভাবে বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের প্রশাসনিক বিভিন্ন পদে বসানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে গত ৩ আগস্ট পর্যন্ত এক বছরে আট হাজার ২৭৬ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।
অপারেশন প্ল্যান বন্ধে স্থবিরতা
স্বাস্থ্যের ১৪টি খাতে অর্থ বরাদ্দ হয় অপারেশন প্ল্যানের (ওপি) মাধ্যমে। কিন্তু গত বছরের জুনে ওপি বন্ধ হওয়ায় সব উন্নয়নমূলক কাজে বিরাজ করছে স্থবিরতা। বন্ধ আছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতালে এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাম থেকে শুরু করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার উপকরণ সরবরাহ। বর্তমানে বেতন ও অফিস পরিচালন ব্যয় ছাড়া কোনো অর্থ ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। এ কারণে গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে নতুন কোনো যন্ত্র কেনা ও উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি। অর্থ বরাদ্দ না থাকায় হাসপাতালগুলো থেকে নিয়মিত চাহিদা এলেও এক্স-রে যন্ত্র, আল্ট্রাসনোগ্রামসহ কোনো যন্ত্র সরবরাহ করা যাচ্ছে না বলে জানান হাসপাতাল সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট বিভাগের লাইন ডিরেক্টর ডা. জয়নাল আবেদীন টিটু।
আগের মতোই দ্বিগুণের বেশি রোগী নিয়ে সেবা দিচ্ছে আড়াই হাজার শয্যার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল। প্রতিদিন ১০ হাজারের বেশি রোগী চিকিৎসা নেয় প্রতিষ্ঠানটিতে। বিপুলসংখ্যক এই রোগীর চিকিৎসায় চিকিৎসক, নার্স থেকে শুরু করে যত পরিচ্ছন্নতা কর্মী দরকার, আছে তার অর্ধেক। চিকিৎসা নিতে আসা প্রায় সব রোগীর ওষুধের প্রয়োজন হলেও চাহিদা অনুযায়ী খুব সামান্যই দিতে পারছে হাসপাতাল। বন্ধ রয়েছে রেডিওথেরাপির মতো জীবনরক্ষাকারী পরীক্ষা-নিরীক্ষা। বিকল এক্স-রে, সিটি স্ক্যান ও এমআরআইয়ের মতো জটিল ও ব্যয়বহুল রোগ নির্ণয় যন্ত্র।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান আমার দেশকে বলেন, ‘এ হাসপাতালে প্রতিদিন ১০ হাজারের বেশি রোগী চিকিৎসা নেয়। একটা উপজেলা ও জেলা হাসপাতালের চেয়ে কয়েকগুণ। প্রতি বছর বরাদ্দ থাকে ৩৫০ কোটি টাকা। যার দুই-তৃতীয়াংশই চলে যায় বেতন-ভাতায়। ওষুধ ও রোগ নির্ণয়ের জন্য থাকে ১০০ কোটির মতো, যা প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেক। এ কারণে রোগীর প্রত্যাশা অনেক থাকলেও আমরা পূরণ করতে পারছি না।’
মহাখালীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল কাগজে-কলমে ৩০০ শয্যার হলেও চিকিৎসা চলছে ৫০০ শয্যায়। এরপরও একটি শয্যা পেতে দিনের পর দিন হাসপাতালের বারান্দায় ঘুরতে হচ্ছে রোগীদের। এভাবে অনেকে মারাও যাচ্ছে।
দেড় বছর ধরে পাকস্থলীর ক্যানসারে ভুগছেন নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার আছিয়া বেগম। স্থানীয় হাসপাতালে গেলে দ্রুত অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এজন্য পাঠানো হয় ক্যানসার হাসপাতালে। গত ১২ জুলাই মহাখালী এলেও ৩ আগস্ট পর্যন্ত মেলেনি শয্যা। শুধু আছিয়াই নন, ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসায় দেশের একমাত্র বিশেষায়িত এ হাসপাতালে চিকিৎসা বঞ্চিতের এমন চিত্র স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ক্যানসার হাসপাতালে ২০২০ সালেও ছয়টি রেডিওথেরাপি মেশিন চালু ছিল। ২০২৩ সালে তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। পাঁচ বছর আগে যেখানে প্রতি মাসে তিন সহস্রাধিক রোগী রেডিওথেরাপি নিতে পারতেন, সম্প্রতি চালু হওয়ায় দুটি যন্ত্রে মাসে ১০০-এর বেশি রোগী এই সেবা পাচ্ছেন না। এছাড়া হাসপাতালে থাকা একমাত্র এমআরআই, দুটি এক্স-রে যন্ত্রের একটি, দুটি সিটি স্ক্যানের একটি স্থায়ীভাবে বিকল।
রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রকিব উদ্দীন আহমেদ আমার দেশকে বলেন, ‘সারা দেশের রোগী এখানে আসে, চার বছর আগে যে জনবল ছিল এখনো তাই রয়ে গেছে। এ কারণে পরিবর্তন সেভাবে বলতে গেলে কিছুই হয়নি।’
সরকারি ১৪ হাসপাতালে বন্ধ আইসিইউ সেবা
ঢাকার আশপাশের এলাকাগুলোর সংকটাপন্ন রোগীদের ভিড় থাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে আল্ট্রাসাউন্ড মেশিনসহ রোগ নির্ণয়ের বিভিন্ন যন্ত্র বিকল থাকায় এমনিতেই রোগীদের ভোগান্তি ও হয়রানি বেড়েছে। সেই সংকট আরো বাড়িয়েছে ১০ শয্যার বন্ধ আইসিইউ।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক ডা. শফিউর রহমান বলেন, ‘আইসিইউ চালাতে মেডিকেল অফিসার নয়, এটার বিশেষ দক্ষতা সম্পন্ন চিকিৎসক, নার্স ও টেকনোলজিস্ট দরকার। সরকার থেকে এখন পর্যন্ত লোক দিতে না পারায় নিয়মিত লোকবল দিয়ে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে চালুর পরিকল্পনা আছে।’
শুধু এ হাসপাতালেই নয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, সরকারি ১৪টি হাসপাতালে আইসিইউ সেবা বন্ধ আছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে রোগীদের ওপর। প্রতিদিন শত শত সংকটাপন্ন ও জটিল রোগীকে ছুটতে হচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালে, কয়েকগুণ বেশি খরচে সেবা নিতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন রোগীরা। অথচ কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস (ইআরপিপি) প্রকল্পের আওতায় স্থাপন হওয়া এসব আইসিইউয়ের প্রতিটির জন্য খরচ হয়েছে সাড়ে ১০ কোটি টাকা। সে হিসাবে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার যন্ত্র এখন নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিতে আছে।
ভেঙে পড়েছে উপজেলা স্বাস্থ্যসেবা
কর্মপরিবেশ না থাকা, চিকিৎসকদের শিক্ষা ছুটি ও জনবল সংকটে এমনিতেই স্থানীয় পর্যায়ে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভঙ্গুর। এর মধ্যেই অপারেশন প্ল্যান বাতিলে ভেঙে পড়েছে পুরো স্বাস্থ্যসেবা। অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশের ৪৯২টি উপজেলা হাসপাতালে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার চিকিৎসকের পদ রয়েছে। যার চার হাজার পদই খালি, অর্থাৎ ৫৩ শতাংশ।
দিনাজপুরের ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার ও কনসালট্যান্ট মিলে চিকিৎসকের পদ ২৪টি। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ রোগী চিকিৎসা নেন। সেখানে কর্মরত মাত্র দুজন মেডিকেল অফিসার। এছাড়া সার্জনের অভাবে বন্ধ আছে অস্ত্রোপচার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপজেলা হেলথ কেয়ারের লাইন ডিরেক্টর ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, আগে উপজেলা পর্যায়ে আল্ট্রাসনোগ্রামের মতো যন্ত্র সরবরাহ করত এই শাখা। সেক্টর প্রোগ্রাম থেকে বের হয়ে আসায় এসব যন্ত্র সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। আগে কেন্দ্রীয়ভাবে হতো, এখন ডিপিপির (ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রোপোজাল) মাধ্যমে নিজেরাই করতে পারবে। এটি জমা দেওয়া হয়েছে, পাস হলেই কার্যক্রম শুরু হবে।
ওষুধ মিলছে না কমিউনিটি ক্লিনিকে
জানা গেছে, দেশের ১৪ সহস্রাধিক কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রায় চার মাস ধরে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ আছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন রোগীরা। এসব ক্লিনিকে ওষুধ সরবরাহ করে সরকারের এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড। ওপি বন্ধ থাকায় অর্থ না পেয়ে এপ্রিল থেকে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। অর্থ বরাদ্দ না থাকায় ওষুধও কেনা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের সভাপতি ডা. আবু মুহাম্মদ জাকির হোসেন।
জ্বর, পেট ব্যথাসহ সাধারণ সমস্যায় প্রান্তিক পর্যায়ে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থাকলে শহরাঞ্চলে নেই কোনো প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র। নগরবাসীর জন্য ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য শহরে আরবান প্রাইমারি হেলথকেয়ার বা নগরকেন্দ্রিক প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে যার নাম ঠিক করা হয় ‘জেনারেল প্র্যাক্টিশনার (জিপি) ক্লিনিক’। কিন্তু উদ্যোগের প্রায় ছয় মাসেও বাস্তবায়ন করতে পারেনি সরকার।
ফাইলবন্দি সংস্কার কমিশনের সুপারিশ
গত ৫ মে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্বাস্থ্য খাতের সমস্যা নিরসনে সংস্কার প্রস্তাব জমা দেয় স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন। ওই সময় যেসব সুপারিশ এখনই বাস্তবায়নযোগ্য সেগুলোর জন্য দ্রুত উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। কিন্তু তিন মাসেও খোলেনি সেই ফাইল। বাস্তবায়ন হয়নি কোনো সিদ্ধান্ত।
কমিশনের সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, সরকার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলে নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বে, সংস্কার কাজ আর এগোবে না। এজন্য এখনই বড় ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার উপযুক্ত সময়।
গত ৪ আগস্ট রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘স্বাস্থ্য পদ্ধতি সংস্কার : আমরা কোথায়’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্য খাত সংস্কারের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না বলে মন্তব্য করেন বিশেষজ্ঞরা।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের সদস্য ডা. আবু মুহাম্মদ জাকির হোসেন আমার দেশকে বলেন, ‘গত এক বছরে স্বাস্থ্যসেবা খাতে গতি বাড়ার চেয়ে উল্টো কমেছে। আমাদের সুপারিশ ছিল সেবার পরিধি বাড়ানো এবং মানসম্পন্ন সেবা নিশ্চিত করা। এজন্য কী কী করতে হবে সবকিছু আমরা বলেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত শুধু অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা হালনাগাদ করতে একটি কমিটি গঠন ছাড়া কিছুই দৃশ্যমান নয়।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর বলেন, জনবল সংকট নিরসনে তিনটি বিসিএসের মাধ্যমে প্রায় তিন হাজার ৮০০ চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে। এছাড়া স্বাস্থ্য খাত শক্তিশালী করতেই সরকার ওপি থেকে বেরিয়ে এসেছে। তবে সার্বিক সংকট থেকে উত্তরণে সংস্কার কমিশনের স্বল্পমেয়াদিগুলো সুপারিশগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায়— তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, দীর্ঘদিনের সমস্যা রাতারাতি সমাধান হবে না। জনবল সংকট নিরসনে ইতোমধ্যে তিন হাজার চিকিৎসকের পরীক্ষা শেষ হয়েছে, তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে আরো সাড়ে তিন হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে। আরো ১০ হাজার চিকিৎসকের পদোন্নতি প্রক্রিয়াধীন আছে।
নানা দিক পর্যালোচনা করতে গিয়ে কয়েক মাস ওষুধ সরবরাহে বিঘ্ন হয়েছে দাবি করে স্বাস্থ্যের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, জিপি ক্লিনিকের প্রস্তাব ডিপিপিতে পাস হয়েছে। অবশ্যই এটি বাস্তবায়ন হবে। তিন-চার মাসের মধ্যেই দৃশ্যমান হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।