
গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার এক বছরে দেশের অর্থনীতিতে প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির মধ্যে বিস্তর পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে। দায়িত্ব নেয়ার পরপরই অর্থনীতিসহ বেশ কিছু সংস্কার কমিশন করেছে সরকার। আশা ছিল প্রয়োজনীয় সংস্কার হবে। কিন্তু কোনো রিফর্মই আলোর মুখ দেখেনি। আর্থিক খাতের মধ্যে ব্যাংকিংয়ে কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরে এলেও এনবিআর, জ্বালানি, গ্যাস ও শিল্পে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ স্থবিরতা রয়ে গেছে। ফলে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ এখনো রয়েছে। তবে এ সময়ে অর্থনীতির নানা সূচকে ধরা দিয়েছে ইতিবাচক অগ্রগতি। মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করেছে। রেমিট্যান্স আহরণে রেকর্ড। রপ্তানি আয় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি। রিজার্ভ পরিস্থিতির উন্নতি। মুদ্রা বিনিময় হার স্থিতিশীল রয়েছে। এসবের মধ্যদিয়ে অর্থনীতির ভিত কিছুটা হলেও মজবুত হয়েছে। তবে বিনিয়োগ ও ব্যাংকিং খাত নিয়ে এখনো উদ্বেগ কাটেনি। অথচ গত দশকে এসব সংকট বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ব্যাহত করেছিল।
সংশ্লিষ্টরা জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা ছিল আকাশচুম্বী। এক বছরে রাষ্ট্রীয় মদতে গুম-খুন বন্ধ হয়েছে। কিন্তু বেকারত্ব কমেনি, বিনিয়োগ বাড়েনি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নও সেভাবে হয়নি। এ ছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশার তুলনায় প্রাপ্তি কম হওয়ায় অনেকের মধ্যে হতাশা কাজ করছে। পরিস্থিতির উন্নয়ন ও দেশের টেকসই সংস্কারের জন্য দরকার একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। রাজনৈতিক সরকার গঠন হলেই সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে বলে আশা করেন তারা।
রেমিট্যান্স-রিজার্ভ দৃশ্যমান সাফল্য: ২০২৪ সালের জুনে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেমে এসেছিল ১৯.৮ বিলিয়ন ডলারে, যা গত এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে ছিল। তবে গত আগস্টে পট পরিবর্তনের পর সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়।
ফলে রেমিট্যান্স প্রবাহে রেকর্ড গড়ে এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩১.৬৮ বিলিয়ন ডলারে। এই অর্জনের পেছনে মূল চালিকাশক্তি ছিল রেমিট্যান্স। বিদায়ী অর্থবছরে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৩০.২১ বিলিয়ন ডলার, যা এক অর্থবছরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৪৮.২৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ, যা আগের বছরের তুলনায় ৮.৫৮ শতাংশ বেশি। সবচেয়ে বড় অবদান এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে ৩৯.৩৫ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে নিটওয়্যার খাত থেকে আয় ২১.১৬ বিলিয়ন এবং ওভেন পোশাক থেকে ১৮.১৮ বিলিয়ন ডলার।
ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বর্তমান গভর্নর বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছেন, যে কারণে ব্যাংকিং খাতে যে রক্তপাতটা হচ্ছিল, সেটি কিছুটা হলেও থামানো গেছে। অভ্যুত্থানের পর থেকে ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, যা অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তবে ব্যাংক খাত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে আরও অনেকদিন সময় লাগবে। সেজন্য সংস্কার কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যেতে হবে।
ডলারের দাম স্থিতিশীল: বিশ্ববাজারে ডলারের দাম কমে আসা এবং দেশীয় রিজার্ভ বাড়ায় মুদ্রাবাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে এলসি নিষ্পত্তি হচ্ছে ১২১-১২২ টাকা হারে, আর ব্যাংকগুলো এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে ডলার কিনছে ১২২.৭০ টাকায়। আমদানি খাতে চাপ কম থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদাও কিছুটা নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় রয়েছে।
মূল্যস্ফীতি ও বাজার স্থিতিশীলতা: মুদ্রাস্ফীতি একটি প্রধান সমস্যা যা এখনো রয়ে গেছে। যদিও কিছু ক্ষেত্রে দাম কমেছে, তবে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় এখনো বেশ বেশি। ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ শতাংশের ওপরে গিয়ে ব্যবসায় ও জনগণের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিল। সরকার দ্রুত আমদানি শুল্কে ছাড়, ভর্তুকি বৃদ্ধি এবং টিসিবি’র মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে খাদ্য সরবরাহ বৃদ্ধি করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, টানা চার মাস ধরে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমছে। গত জুনে তা নেমে এসেছে ৮.৪৮ শতাংশে, যা গত প্রায় তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০২২ সালের জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি নেমেছিল ৭.৪৮ শতাংশে। এরপর এতটা নিম্নহার আর দেখা যায়নি। জ্বালানি, খাদ্য ও আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখাসহ মুদ্রানীতি ও নীতিগত হস্তক্ষেপের সুফল ইতিমধ্যে দেখা যাচ্ছে। বেশ কিছু পণ্যের দামে স্থিতিশীলতা অব্যাহত রয়েছে।
বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান: সরকার নতুন দক্ষতা উন্নয়ন প্রোগ্রাম চালু করেছে এবং উদ্যোক্তা সহায়তার জন্য ব্যাংক ও বিডা’র সমন্বয়ে ‘ইনভেস্টমেন্ট উইন্ডো’ চালু করেছে। বিদেশি বিনিয়োগ প্রণোদনা প্যাকেজের পুনর্মূল্যায়ন চলছে। তবে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অভাবে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ প্রত্যাশা মতো বাড়ছে না। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিনিয়োগকারীরা সম্ভবত সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। নতুন বিনিয়োগ আসার গতি কমে গেছে।
গতি ফিরছে পুঁজিবাজারে: চাঙ্গাভাব দেখা দিয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। দুই মাস আগে বাজারে যে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়েছে, তা অব্যাহত রয়েছে। লেনদেনের পাশাপাশি মূল্যসূচকও বাড়ছে দুই পুঁজিবাজারে। বাড়ছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর। আর এতে আস্থা ফিরে এসেছে বাজারে; অনেকদিন পর খুশি ছোট-বড় সব বিনিয়োগকারী। প্রায় ১০ মাস পর দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫ হাজার ৫০০ পয়েন্ট ছাড়িয়েছে। লেনদেনের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৩৭ কোটি টাকায়।
বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে: বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, গেল ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) পণ্য বাণিজ্যে সার্বিক ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৩৩ কোটি ৮০ লাখ (১৯.৮০ বিলিয়ন) ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪.১৭ শতাংশ কম। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এই ১১ মাসে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২ হাজার ২২ কোটি ৪০ লাখ (২০.২২ বিলিয়ন) ডলার।
অর্থনীতিতে কিছু বড় চ্যালেঞ্জ: টানা চার মাস দর কষাকষি ও ?তৃতীয় দফার বৈঠকের পর বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই ২০ শতাংশও বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ। এতদিন তা ১৫ শতাংশ ছিল। নতুন হারে বাংলাদেশি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশে গড়ে ৩৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে।
উচ্চ মূল্যস্ফীতি: মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা এখনো একটি বড় চ্যালেঞ্জ। মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। তবে প্রত্যাশিত মাত্রায় নয়। আর সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও খাদ্যপণ্য, বিশেষ করে চালের দাম এখনো সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে রয়েছে।
প্রবৃদ্ধি হ্রাস: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি ৪% এর নিচে নেমে ৩.৯৭% হয়েছে। এটি আগের বছরের প্রবৃদ্ধির (৪.২২%) চেয়ে কম, যা অর্থনীতির গতি মন্থর হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
শিল্প ও কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব: রাজনৈতিক অস্থিরতা, গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট এবং শ্রমিক অসন্তোষের কারণে গত এক বছরে শতাধিক শিল্প ইউনিট বন্ধ হয়ে গেছে, যার ফলে প্রায় ৬০,০০০ শ্রমিক বেকার হয়েছেন।
ব্যবসা ব্যয় বৃদ্ধি: গ্যাস, বিদ্যুৎ এবং ব্যাংক সুদের উচ্চ হারের কারণে ব্যবসা পরিচালনার খরচ বেড়েছে, যা নতুন বিনিয়োগ এবং ব্যবসা সমপ্রসারণে বাধা সৃষ্টি করছে।
রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে প্রায় এক লাখ কোটি টাকার ঘাটতি ছিল, যা সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। সাময়িক হিসাবে এই অর্থবছরের ১২ মাসে এনবিআর মোট ৩ লাখ ৭০ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে, যা সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯২ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা বা ২০ শতাংশ কম।
খেলাপি ঋণ ৫ লাখ কোটি টাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুন শেষে ব্যাংক খাতে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় ৩০ শতাংশ। আর চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের ৬৭.১৪ শতাংশ। বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা এবং মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি কমে যাওয়ায় অর্থনীতিতে গতি থমকে রয়েছে।
বিদেশি ঋণ পরিশোধে রেকর্ড: গত অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। এই ১২ মাসে পরিশোধ করা হয়েছে ৪০০ কোটি ডলারের বেশি ঋণ। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, এক মাস আগে শেষ হওয়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় ঋণদাতাদের আগের পুঞ্জীভূত পাওনা থেকে কিস্তি হিসাবে ৪০৮ কোটি ৬৯ লাখ ডলার পরিশোধ করেছে সরকার। এই অঙ্ক আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ২১ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পরিশোধ করতে হয়েছিল ৩৩৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার। সব মিলিয়ে অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা গেলেও, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি হ্রাস এবং কর্মসংস্থান সংকটের মতো বড় চ্যালেঞ্জগুলো এখনো বিদ্যমান।
সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য: শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, আমরা চাই দেশে সামাজিক শৃঙ্খলা, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক গতিপ্রকৃতি স্থিতিশীল থাকুক। কিন্তু দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও খারাপের দিকে গেছে। এখন অনেকে নিজেকে অনিরাপদ মনে করেন।
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর অর্থনীতিতে অনেকটা স্বস্তি এসেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারে এসেছে, মুদ্রা বিনিময় হারও ১২০-১২২ টাকার মধ্যে আছে। মূল্যস্ফীতি স্থিতিশীল আছে। যদিও কিছু বিষয়ে দ্বিমত আছে। রেপো সুদ হার ৩০-৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থায় আছে। এত সুদ দিয়ে বাংলাদেশে ব্যবসা করা যাবে না। বিদেশি বিনিয়োগ স্থবির। রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এলে সেটা ঠিক হয়ে যাবে আশা করা যায়।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, গত এক বছরে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যে বিস্তর পার্থক্য দেখেছি। এই সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশাটা অনেক বেশি ছিল। সরকার দায়িত্ব নেয়ার পরপরই অনেক সংস্কার কমিশন করেছে। আমরা আশা করেছিলাম, প্রয়োজনীয় সংস্কার হবে। কিন্তু কোনো রিফর্মই আলোর মুখে দেখছে না। এনবিআর সংস্কার হচ্ছে না, জ্বালানি সমস্যার সমাধান হয়নি। তিনি বলেন, এ সরকারের আমলে সবচেয়ে পজিটিভ দিক হচ্ছে লুটপাট বন্ধ হয়েছে। ব্যাংকিং সেক্টরে একটি শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। রিজার্ভ পরিস্থিতির উন্নতি। মুদ্রা বিনিময় হার স্থিতিশীল রয়েছে। অর্থনীতির ভুয়া পরিসংখ্যান দেয়নি। এগুলো হলো সরকারের ইতিবাচক সাফল্য। তিনি বলেন, গত এক বছরে বিনিয়োগ হয়নি। লুটপাটের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে খেলাপি ঋণ দ্বিগুণ হয়ে গেছে। এই খেলাপি ঋণের কারণে সুদ হার ১৪-১৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এই সুদ দিয়ে শিল্প স্থাপন সম্ভব নয়।