Image description

ঐতিহাসিক জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠানে ঢাকায় যাওয়ার জন্য রাজশাহীতে রেল বিভাগের বরাদ্দ করা বিশেষ ট্রেনটি পছন্দ না হওয়ায় বিক্ষোভ করেছেন কর্মসূচিতে যোগ দিতে আগ্রহীরা ছাত্র-জনতা।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে রাজশাহী স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের রেলপথে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, মঙ্গলবার সকাল ৭টা ২০ মিনিটে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে বিশেষ ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার কথা। সে অনুযায়ী সকালে তার স্টেশনে এসে দেখতে পান বরাদ্দকৃত ট্রেনটি যাত্রা উপযোগী নয়। একই সঙ্গে দ্রুততম সময়ে পৌঁছানো যাবে না। সে কারণে ভালো ট্রেন ও বগির জন্য তারা আন্দোলন করছেন। 

এ বিষয়ে রাজশাহী স্টেশন ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম বলেন, ভালো মানের বগিসহ ভালো ট্রেনের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছেন তারা। 

জানা গেছে, জুলাই ঘোষণাপত্র ঘিরে বরাদ্দ ট্রেনে করে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ছাত্র-জনতাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হবে। আবার কর্মসূচি শেষে এসব ট্রেনে করে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হবে। ৮ জোড়া ট্রেনের জন্য প্রায় ৩০ লাখ ৪৬ হাজার টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। ট্রেনগুলোর ভাড়া মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পরিশোধ করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে। 

জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর তাদের চিঠিতে কোন কোন জায়গায় ট্রেন দিতে হবে, কখন ট্রেন ঢাকায় পৌঁছাতে হবে এবং কখন গন্তব্যে ফিরে যাবে, তা উল্লেখ করেছে। সে অনুযায়ী সূচিপত্র তৈরি করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। জুলাই অধিদপ্তর তাদের চিঠিতে বলেছে, ট্রেনগুলো বেলা ২টা থেকে ৩টার মধ্যে ঢাকায় পৌঁছাতে হবে। কর্মসূচি শেষে রাত ৮-৯টার মধ্যে নির্ধারিত গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ফিরতি যাত্রা শুরু করবে।

রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিশেষ ট্রেনগুলো পরিচালনার জন্য তারা একটি সূচি তৈরি করেছেন। এর মধ্যে রংপুর থেকে আসা ট্রেনটি যাত্রা শুরু করবে কর্মসূচির আগের দিন, ৪ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টায়। এর বাইরে দূরের গন্তব্য চট্টগ্রাম, সিলেট ও রাজশাহী থেকে ৫ আগস্ট ভোরে ট্রেনগুলো ছেড়ে আসবে। ঢাকার আশপাশের জেলা গাজীপুর, নরসিংদী ও ফরিদপুর থেকে ট্রেনগুলো ছাড়বে দুপুরের আগে আগে। অনুষ্ঠান শেষে দূরের গন্তব্যের ট্রেনগুলো আগে ফিরতি যাত্রা শুরু করে। পর্যায়ক্রমে কাছের গন্তব্যের ট্রেনগুলো ছাড়বে।