
চট্টগ্রামে সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এম এ হারুন অর রশিদ বীর প্রতীক মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুর ১২টায় নগরীর চিটাগং ক্লাব লিমিটেডের গেস্ট হাউজ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এম এ হারুন অর রশিদ চিটাগং ক্লাব লিমিটেডের গেস্টহাউজ কমপ্লেক্সের ৩য় তলার ৩০৮ নম্বর রুমে গত ৩ আগস্ট বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি তার মামা চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল ও সাখাওয়াত হোসেনের নন্দনকাননের বাসায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান। সাক্ষাৎ শেষে পুনরায় রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে আবার গেস্টহাউজে আসেন।
সোমবার সকাল ১০টায় গেস্টহাউজের লোকজন দরজা নক করলে ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে গেস্ট হাউজের লোকজন রুমের জানালা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন এবং তাকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পান। এরপর চিকিৎসক এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, বর্তমানে ঘটনাস্থলে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ও সিআইডি পর্যবেক্ষণ করছে। তার মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি। তার মরদেহ সুরহতাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে মর্মে জানা যায়।
সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এম এ হারুন অর রশিদ বীর প্রতীক ২০০০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০২ সালের জুন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
হারুন অর রশিদের ভাগিনা সাংবাদিক আরিচ আহমেদ শাহ বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন,
এক সপ্তাহ আগে মারা যাওয়া ফুফাতো ভাই অধুনালুপ্ত দৈনিক বঙ্গবার্তার সম্পাদক কে এম শাখাওয়াত হোসেনের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে রোববার চট্টগ্রামে আসেন তিনি। প্রয়াত শাখাওয়াত হোসেনের বাসায় রাতের খাবার খেয়ে রাত্রিযাপন করতে রাত ১০টায় চট্টগ্রাম ক্লাবে যান। সকালে নির্ধারিত সময়ে প্রাতঃরাশে না যাওয়ায় ক্লাবের কর্মকর্তারা ডাকাডাকি করেন। পরে তার মুঠোফোনে ফোন করে রিং বাজলেও সাড়া দেননি। পরে ক্লাব কর্তৃপক্ষ বিকল্প চাবি দিয়ে দরজা খুললে মৃত অবস্থায় পান। পরে পুলিশ ও সেনাদপ্তরে খবর দেওয়া হলে ক্যান্টনমেন্ট থেকে ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা ও সিএমপি পুলিশ ঘটনাস্থলে যান।