
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে রাজনৈতিক দল হিসেবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) গঠন একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
তবে সংস্থাটি বলছে, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের অংশ হিসেবে সুশাসন, দুর্নীতিমুক্ত, জনগণের কাছে অঙ্গীকারাবদ্ধ রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে এনসিপির বিকশিত হওয়ার কথা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে তা প্রশ্নবিদ্ধ। অর্থের উৎসের অস্বচ্ছতা, দলবাজি, দখলবাজি, চাঁদাবাজি, অনিয়মের বিদ্যমান সংস্কৃতি ধারণ করে আত্মঘাতী পথে ধাবিত হচ্ছে দলটি।
সোমবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে টিআইবির সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ: কর্তৃত্ববাদী সরকার পতন-পরবর্তী এক বছরের ওপর পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব কথা জানানো হয়।
টিআইবির গবেষণা ফেলো মো. জুলকারনাইন বলেন, নির্বাচনের তারিখ, সংস্কার ও অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক অবিশ্বাস, সন্দেহ, বিতর্ক ও সহনশীলতার ঘাটতিতে সংস্কার ও নির্বাচন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। নির্বাচন, সংস্কার, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রমকে মুখোমুখি দাঁড় করাতে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান অনড়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে রাজনৈতিক বিভাজন, মতাদর্শিক লড়াই ও ক্ষমতার দ্বন্দ্ব রয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণ, পুরাতন জোট ভেঙে নতুন নতুন রাজনৈতিক জোট বা বলয় তৈরির উদ্যোগ নিতে দেখা গেছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ও নিবন্ধনের জন্য আবেদন জমা পড়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক বাছাইয়ে কোনো দল শর্ত পূরণ করতে পারেনি। আবেদন করা দলগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নামসর্বস্ব দল। এছাড়া এনসিপিও নিবন্ধনের শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, গবেষণা ফেলো শাহজাদা এম আকরাম, ফারহানা রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।