
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘মিথ্যার ওপর পিএইচডি করতে হলে শেখ হাসিনার কাছে শিখতে হবে। পৃথিবীর সব স্বৈরশাসকের যদি কোনো সমিতি করা হয়, শেখ হাসিনা হবেন তার সভাপতি।’
রোববার (৩ আগস্ট) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যতের স্বার্থে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে স্বৈরাচার ও তার সহযোগীদের সর্বোচ্চ শাস্তি আমরা চাই।’
এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল পৃথিবীর কোন দেশের স্বৈরাচারের কী পরিণতি হয়েছে, তা আদালতের সামনে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ন্যায়বিচার চাই, দেশের মানুষের স্বপ্নের বিচার চাই। ন্যায়বিচারের মধ্য দিয়েই আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। শুধু রাষ্ট্রপক্ষ নয়, সবাই ন্যায়বিচার পাবেন।’
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বিগত আমলে গুম-খুনের পলিটিক্যাল কালচার সৃষ্টি হয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য এমন একটি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা দরকার, যেখানে খুনের রাজনীতি বন্ধ হবে।’
মো. আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে গুম-খুন, চাঁদাবাজি, টাকা পাচার করা হয়েছে। আর এর বিরুদ্ধেই ছিল বৈষম্যবিরোধী জুলাই আন্দোলন।’
এ সময় চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এই বিচার অতীতের হিসাব চুকানোর চেষ্টা নয়, এটি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দৃপ্ত পদক্ষেপ। কোনো ব্যক্তি যতই ক্ষমতাধর হোক, সে আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, ‘আসামির অনুপস্থিতি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বাধা হবে না। আসামির ইচ্ছাকৃত পলায়ন এবং বিদেশি রাষ্ট্রের নির্লিপ্ততা ন্যায়বিচার নিশ্চিতে বাধা হবে না।’