
জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের এক মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
রোববার প্রথম সাক্ষ্য দিয়েছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে পুলিশের হামলায় গুরুতর আহত হওয়া খোকন চন্দ্র বর্মণ।
তিনি নিজের ওপর ঘটে যাওয়া নৃশংশ আচরণসহ যাত্রাবাড়ী থানার সামনে তার চোখের সামনে ঘটা মানুষ হত্যার বিবরণ দিয়েছেন।
আদালতে খোকন বলেন, “২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দুপুরে যাত্রাবাড়ী থানার সামনে পুলিশ গুলি করে আমার বাম চোখ, নাখ ও মুখ নষ্ট করেছে। হাজার হাজার মানুষকে মারা হয়েছে। আমার চোখের সামনে অনেককে গুলি করা হয়েছে। আমাকে আহত করাসহ হাজার হাজার মানুষ হত্যার জন্য দায়ী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের (সাক্ষীর ভাষায় কাউয়া কাদের), আসাদুজ্জামান খান কামাল, শামীম ওসমান ও আব্দুল্লাহ আল মামুন।”
এসময় প্রসিকিউশন থেকে তার কাছে ‘কাউয়া কাদের’ বলতে কাকে বোঝাচ্ছেন জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি একাধিকবার বলেন, কাউয়া কাদের বলতে ওবায়দুল কাদেরকেই বোঝাচ্ছি। এসময় ট্রাইব্যুনালে হাস্যরসও হয়।
এর আগে, গত ১০ জুলাই এ মামলায় শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সেদিন ট্রাইব্যুনালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার করেন সাবেক এই আইজিপি।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত কথিত হত্যাযজ্ঞের অভিযোগে পুনর্গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। এসব অভিযোগের মধ্যে শেখ হাসিনাসহ চারটি মামলার বিচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে আওয়ামী লীগের গ্রেপ্তারকৃত শীর্ষ ১৭ নেতা, ওবায়দুল কাদেরসহ আরও ছয়টি মামলা।
শীর্ষনিউজ