Image description
 

পাল্টা শুল্কে ভারত ও চীনের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকায়, যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখছেন উদ্যোক্তারা। জানান, ক্রেতার কাছ থেকে দাম কমানোর চাপ এলেও তা শক্তভাবে দরকষাকষির সুযোগ রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্ভাবনার পুরোটা কাজে লাগাতে নজর দিতে হবে অভ্যন্তরীণ সংকট কমাতে। 

মান ও ধরন ভেদে দেশে তৈরি এসব পোশাকে গড়ে সাড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়, যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিতে। যা মোকাবিলা করেই বাজারটিতে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। রপ্তানি আরও বাড়াতে এই শুল্কহার শূন্যের কোটায় নামানোর চেষ্টা চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু এপ্রিলে সেই ঘোর কেটে গেলো ট্রাম্পের রেসিপ্রোকাল ট্যারিফে। এখন বাংলাদেশি পোশাকে যুক্ত হলো আরও ২০ শতাংশ শুল্ক। তবে তা প্রতিযোগি দেশ ভিয়েতনামের সমান বা পাকিস্তানের তুলনায় কিছুটা বেশি হলেও চীন ও ভারতের চেয়ে কম।

উদ্যোক্তারা বলছেন, নতুন শুল্কহারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বজায় থাকলেও কোনো কোনো ক্রেতার কাছ থেকে দাম কমানোর চাপ আসতে পারে। এক্ষেত্রে শক্তভাবে দরকষাকষির সুযোগ রয়েছে।স্প্যারো অ্যাপারেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোভন ইসলাম বলেন, আমরা খুব চিন্তায় ছিলাম, যদি আমাদের শুল্ক প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় ১০-১৫ শতাংশ বেশি হয়ে যেত, তাহলে হয়তো আমরা টিকতেই পারতাম না। কারণ আমাদের কিছু কাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। যেমন- লিড টাইম বেশি, জাহাজ সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রে যায় না।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, এই শুল্ক কাঠামো বিশ্বব্যাপী সমভাবে কার্যকর হওয়ায় রপ্তানিতে হঠাৎ করে বড় ধাক্কা লাগার আশঙ্কা নেই। এতে করে ক্রেতারা কোনো বিশেষ দেশকে বেছে নেয়ার সুযোগও কম পাবে।সবশেষ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ৮৬৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ। যার সিংহভাগ তৈরি পোশাক। নতুন শুল্কহারে চীন ও ভারতের তুলনায় এগিয়ে থাকায় বেড়েছে সম্ভাবনা। যা কাজে লাগাতে অভ্যন্তরীণ সংকট নিরসনে জোর দেয়ার আহ্বান খাত সংশ্লিষ্টদের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক্ষেত্রে গতি আসতে পারে অন্যান্য পণ্যের রপ্তানিতেও।

সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শুধু পোশাকই নয়, ফুটওয়্যারসহ অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাতেও রপ্তানি বাড়ানো সম্ভব। এটি দেশের জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, আপনি যদি গ্যাস ও বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান না করেন, সুদের হার হ্রাস না করেন, আর বন্দরগুলোতে দক্ষতা না বাড়ান, তাহলে ১০ শতাংশ ট্যারিফ ছাড় পেলেও সেটা কাজে লাগানো যাবে না।

যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় হাজার কোটি ডলার।