Image description

দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো চুক্তি হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তবে এই চুক্তি সরকারের জন্য একটি সফলতা বলেও আখ্যা দেন তিনি।

শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে রাজধানীর বেইলি রোডের বাসায় বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কহার কমানোয় এক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি।

শফিকুল আলম বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যেসব চুক্তি হয়েছে, সেগুলো আসলে নন-ডিসক্লোজার (অপ্রকাশ্য)। অনেক কিছু জানলেও এখন বলা সম্ভব নয়। তবে বাংলাদেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে কোনো চুক্তি করা হয়নি, কোনো সামরিক চুক্তিও হয়নি। সরকারের জন্য একটি সফলতা।’

নতুন করে শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় প্রেস সচিব বলেন, ‘২০ শতাংশ শুল্কের সঙ্গে অন্য কোনো শর্ত দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। যতটুকু সম্ভব বিষয়গুলোকে সহজীকরণ করা হবে। প্রতিযোগিতামূলক রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে কাছাকাছি শুল্ক থাকায় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকছি না। পাশাপাশি বাণিজ্য ঝুঁকিও কমে যাচ্ছে।’

শফিকুল আলম বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতিও কমিয়ে আনার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তা আরও কমিয়ে আনা হবে।’

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঐতিহাসিক বাণিজ্য চুক্তি বাংলাদেশের জন্য কূটনৈতিক বিজয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, আমরা গর্বের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক বাণিজ্য চুক্তি অর্জনের জন্য অভিনন্দন জানাই। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক বিজয়।

শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে শুক্রবার দেওয়া এক ঘোষণায় জানানো হয়, ১ আগস্ট থেকে নতুন শুল্ক কার্যকর হচ্ছে। ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

এই ঘোষণায় আরও জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্র একইসঙ্গে একাধিক দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে। এর মধ্যে ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপাইনের ওপর ২০ শতাংশ, কম্বোডিয়া, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার ওপর ১৯ শতাংশ, আফগানিস্তানের ওপর ১৫ শতাংশ এবং মিয়ানমারের ওপর সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।