
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামোর ওপর ২ আগস্ট থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে বড় ধরনের সাইবার হামলার আশঙ্কা রয়েছে— এমন সতর্ক বার্তা দিয়েছে দায়িত্বশীল পর্যায়ের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র।
সূত্র জানায়, এ হামলা বাংলাদেশের ব্যাংক, সরকারি দপ্তর, জ্বালানি খাত, টেলিযোগাযোগ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্য করে হতে পারে। ইতোমধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ দেশের সব মন্ত্রণালয়, ব্যাংক এবং গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলোকে এই বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হামলাকারীদের উদ্দেশ্য দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করা। তারা তাদের লক্ষ্যকে তিনটি শব্দে ব্যাখ্যা করেছে:
Mass casualty (বিপুল প্রাণহানি), Major economic disruption (বড় ধরনের অর্থনৈতিক বিপর্যয়) এবং Spectacularity (বিশ্বমঞ্চে দৃশ্যমান প্রভাব)।
নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, এই হুমকির পেছনে রয়েছে গত ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে পতন ঘটা ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকার— যাদের শাসনামলে দেশের সাইবার প্রতিরক্ষা কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়ে।
এদিকে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। সম্ভাব্য হামলা প্রতিহত করতে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি, সতর্ক বার্তা জারি ও কারিগরি প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় এখন প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের সম্মিলিত প্রস্তুতি ও জনসচেতনতা।
এ বিষয়ে ICT বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, “আমরা সম্ভাব্য আক্রমণের লক্ষ্যে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করেছি। সবাই মিলে সচেতন থাকলেই আমরা এ ধরনের আক্রমণ প্রতিহত করতে পারবো।”