Image description

নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেছেন, ভবিষ্যতে চীন ও ভিয়েতনাম থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অর্ডার বাংলাদেশে স্থানান্তরিত সম্ভবনা রয়েছে।

তৃতীয় দফার আলোচনা শেষে ১৫ শতাংশ কমিয়ে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার (১ আগস্ট) তিনি জাগো নিউজকে এ কথা বলেন।

বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক চীন ব্যতীত অন্য দেশগুলোর জন্য প্রায় সমান হারে শুল্ক নির্ধারণ করা একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত। বিশেষ করে বাংলাদেশসহ প্রধান পোশাক রপ্তানিকারক দেশগুলোর জন্য এই শুল্ক ১৯ থেকে ২০ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকায় আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের প্রতিযোগিতা করার সক্ষমতা রক্ষা পেয়েছে।

এই সুযোগকে কাজে লাগানোর জন্য আমাদের উদ্যোক্তাদের আরও দক্ষ ও সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে, মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে মার্কিন ক্রেতাদের বোঝাতে হবে যে, এই আমদানি শুল্ক আমদানিকারকদেরই বহন করতে হবে এবং পরিশেষে এটি চূড়ান্ত ভোক্তাকেই বহন করতে হবে।

 

তিনি জানান, এতে পণ্যের মূল্য কিছুটা বাড়তে পারে, যা বিক্রি কমার সম্ভাবনা তৈরি করবে। এই পরিস্থিতিতে অর্ডার কিছুটা কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সে প্রেক্ষিতে, ক্রেতারা অন্যায্যভাবে দাম কমানোর চেষ্টা করতে পারেন। তবে, আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর জন্যও শুল্কের হার প্রায় একই রকম বা তার চেয়ে বেশি হওয়ায়, এই মুহূর্তে শক্তিশালী দরকষাকষিই একমাত্র উপায়। কারণ, অন্য যে দেশেই যাক, তাদের কমপক্ষে আমাদের সমান শুল্ক দিতেই হবে। বরং আমাদের এখানে ক্রয়াদেশ দিলে চীন বা ভারত থেকে শুল্ক বিবেচনায় সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে।

ফজলে শামীম এহসান বলেন, আমরা যদি বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে টিকে থাকতে পারি, তবে ভবিষ্যতে চীন ও ভিয়েতনাম থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অর্ডার বাংলাদেশে স্থানান্তরিত সম্ভবনাও রয়েছে। তবে, এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের শিল্পকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। বিশেষ করে, রপ্তানি বাড়াতে নীতিগত সহায়তা, স্বল্পসুদে ঋণের সুবিধা ব্যবস্থা জরুরি। পাশাপাশি, বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার চাপ ও শর্ত মোকাবিলা করে দেশের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।