
জুলাই অভ্যুত্থানে ফেনীর মহিপালে কলেজছাত্র মাহবুবুল হাসান মাসুমকে (২৫) হত্যা মামলায় বৃহস্পতিবার আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। ফেনীর আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আখতার জাবেদ এর নিকট এ অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ফেনী- ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী ও ফেনী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীসহ ২২১ জন আসামিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গেল বছরের ৪ আগস্ট মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা দাবির অসহযোগ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে মাথায় গুলিবিদ্ধ হন মাহবুবুল হাসান মাসুম। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭ আগস্ট মৃত্যুবরণ করে সে।
মাসুম জেলার সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের তরাব পাটোয়ারী বাড়ির মৃত মাওলানা নোমান হাসানের ছেলে। সে ছাগলনাইয়া আব্দুল হক চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ থেকে বাংলায় স্নাতক সম্পন্ন করেন।
কলেজছাত্র মাহবুবুল হাসান মাসুম
এ ঘটনায় ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর নিহতের ভাই মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান ১৬২ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও ৪০০-৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।
এ মামলায় উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন, ফেনী জেলা যুবলীগের সভাপতি ও দাগনভূঞা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল, ফেনী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল, সোনাগাজী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন, পরশুরাম উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌরসভার সাবেক মেয়র নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেল ও যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম পিটু, জিয়া উদ্দিন বাবলু প্রমুখ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ফেনী মডেল থানার এএসআই আলমগীর হোসেন দৈনিক আমার দেশকে বলেন, এ মামলায় এজাহারনামীয় ১২ জন ও সন্দেহভাজন ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মুরাদ হাসান বাবুসহ তিন আসামি ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার বাদী ও নিহতের ভাই মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান দৈনিক আমার দেশকে বলেন, আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলাটির চার্জশিট দিয়ে আসামিদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ফেনী মডেল থানার এএসআই আলমগীর হোসেন বলেন, এ মামলায় এজাহারনামীয় ১২ জন ও সন্দেহভাজন ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মুরাদ হাসান বাবুসহ তিন আসামি ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।