Image description

মাত্র ছয় মাস আগে মাদারীপুরের দোলাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন ২২ বছর বয়সী যুবক নূরউদ্দিন। তবে সেই ভালোবাসাই আজ কেড়ে নিয়েছে তার প্রাণ। প্রিয়তমা স্ত্রীর মানসিক অত্যাচার ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের শারীরিক নির্যাতন মেনে নিতে না পেরে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন তিনি। আর উঠতি বয়সী ছেলেকে হারিয়ে এখন পাগলপ্রায় বাবা।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাত ২টার দিকে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস নেন নূরউদ্দিন। সকালে পৌর শহরের ৯নং ওয়ার্ড বাদুতলী এলাকার নিজ বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নূরউদ্দিন ওই ওয়ার্ডের ফারুক মিয়ার বড় ছেলে।

সন্তানশোকে কাতর ফারুক জানান, ফোনে প্রেমের সম্পর্ক থেকে ছয় মাস আগে বিয়ে করেন দোলা আর নূর। বিয়ের পর একটি সিম কোম্পানিতে চাকরি করতেন তার ছেলে। কিছুদিন আগে একটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বেকার হয়ে যান ওই যুবক।

পরে তার পুত্রবধূ ঢাকায় তার ফুপুর বাসায় চাকরি খুঁজতে যান ১২ দিন আগে। কিন্তু সেখানে গিয়ে নূরউদ্দিনের চাকরি না খুঁজে বিতর্কের সৃষ্টি করে দোলা। গত তিন দিন আগে ছেলের বউয়ের সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় যান তার ছেলে নূর।

তার অভিযোগ, বউ আনতে গেলে আর না ফেরার কথা জানিয়ে দেয় দোলা। পরে সেখানে শ্বশুরবাড়ির লোকজন নূরকে মারধর করে। এমনকি পুলিশ দিয়েও হয়রানি করে কলাপাড়ায় পাঠিয়ে দেয়। এর পর থেকে বাড়ি ফিরে কারও সঙ্গে তেমন কথা বলেনি। রাতে একা ঘরে সবার অগোচরে গলায় রশি দেয় নূরউদ্দিন। তবে ছেলেকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ায় অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানান তিনি।

 

এ বিষয়ে কলাপাড়া থানার ওসি জুয়েল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত একটি ইউডি মামলা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে মৃতের পরিবার থেকে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।