
সরকার পতনের আন্দোলন, বন্যা, এনবিআর কর্মসূচিসহ নানা সংকটে জর্জরিত ব্যবসায়িক পরিবেশ। তারপরও সব সংকটকে পেছনে ফেলে নানা কৌশলে রাজস্ব প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম। আগের অর্থবছরের চেয়ে গত অর্থবছরে ৩৯৭ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ব্যবসায়ী, সরকারসহ সবার সহযোগিতা থাকায় এমন সাফল্য আসছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দরের হিসেব বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির রাজস্ব আয় ছিল ৪ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তা বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার ২২৭ কোটি টাকা। রাজস্ব আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ২২ শতাংশ। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির রাজস্ব আদায়ে খরচ হয়েছে ২ হাজার ১১৪ কোটি টাকা।
কিন্তু ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সে খরচ হয়েছে ২ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা। ফলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দরের রাজস্ব উদ্বৃত্ত ছিল ২ হাজার ৭১৫ কোটি টাকা। তারপরও ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাজস্ব উদ্বৃত্ততে চমক দেখিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর। আগের বছরের চেয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাজস্ব উদ্বৃত্ত ১৯৭ কোটি টাকা বেশি হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। অর্থাৎ এ অর্থবছরে রাজস্ব উদ্বৃত্ত হয়েছে ২ হাজার ৯১২ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, গত এক বছরে সব সংকট পেছনে ফেলে বন্দর এখন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। ১০ মাসে আমরা যে অর্জন করেছি তা ৪৮ বছরের মধ্যে একটি ঐতিহাসিক একটি রেকর্ড। সব প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে এখন একটি গতিশীল অবস্থায় আমরা বন্দরকে আনতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের সর্বোচ্চ এফিসেন্সিকে আমরা বলতে পারি।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে উন্নত ও গতিশীল করতে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সে কারণে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সরাসরি রুট চালুর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বিদেশি বিনিয়োগের স্বার্থে বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি। বন্দরের সক্ষমতা যদি না বাড়ে, এফিসেন্সি যদি না অর্জন করা যায় তাহলে কিন্তু আপনার এখানে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না। ফলে আমাদের এখনই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।