Image description
 

এটুপি খাতে স্বচ্ছতা আনতে এরই মধ্যে বিটিআরসিকে চিঠি দিয়েছে প্রযুক্তিখাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)।

 

আন্তর্জাতিক ক্ষুদে বার্তা (এটুপি এসএমএস) বাণিজ্যে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে নতুন করে গাইডলাইন করতে যাচ্ছে সরকার। এ গাইডলাইনে মাধ্যমে এটুপি এসএমএস আদান-প্রদানে বৈধ উপায়ে সরকার যেন আরো বেশি রাজস্ব আদায় করতে পারে— সেটিই মূল লক্ষ্য। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) একটি কমিটি গঠন করেছে। এ কমিটি মূলত কিভাবে বৈধ উপায়ে এটুপি এসএমএস আদান-প্রদান থেকে সরকার রাজস্ব বাড়াতে পারে, সেই বিষয়ে সুপারিশ করবে।

আন্তর্জাতিক গেটওয়ে অপারেটরদের সংগঠন ‘আইজিডব্লিউ অপারেটরস ফোরাম’ (আইওএফ)-এর হিসাব অনুযায়ী, এটুপি এসএমএস আদান-প্রদানে প্রতি মাসে ৩০ লাখ ডলার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। তাদের দাবি, বর্তমানে মোবাইল অপারেটররা আন্তর্জাতিক ক্ষুদে বার্তা সেবা নিয়ন্ত্রণ করে। সরকার যদি এটা নিজে নিয়ন্ত্রণ করে, তাহলে আট গুণ বেশি রাজস্ব আদায় সম্ভব। নতুন করে নীতিমালা করা গেলে সরকার এ খাত থেকে আরো বেশি রাজস্ব আদায় করতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, ৯০ শতাংশ আন্তর্জাতিক এসএমএস আদান-প্রদানে সরকার কোনো রাজস্ব পাচ্ছে না বলে এ খাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বণিক বার্তা-কে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক এসএমএস আদান-প্রদানে নতুন করে গাইডলাইন (দিকনির্দেশনা) হওয়া দরকার বলে মনে করি। কারণ রাজস্ব আদায়টা এখানে ঠিকঠাক হচ্ছে না। এজন্য বিটিআরসি এটা নিয়ে কাজ করছে। একটি কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। তারা বিষয়গুলো খতিয়ে দেখবে এবং একটি প্রতিবেদন দেবে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো আন্তর্জাতিক এসএমএস আদান-প্রদানে কিভাবে রাজস্ব আদায় করছে— সেই বিষয়গুলো এখানে দেখা হবে।’

 

এটুপি খাতে স্বচ্ছতা আনতে এরই মধ্যে বিটিআরসিকে চিঠি দিয়েছে প্রযুক্তিখাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)।

 

আন্তর্জাতিক কল আদান-প্রদানের জন্য বিটিআরসির গাইডলাইন ও মনিটরিং অবকাঠামো থাকলেও আন্তর্জাতিক এসএমএস আদান-প্রদানে সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা বা গাইডলাইন নেই বিটিআরসির। ফলে কী পরিমাণ বার্তা আদান-প্রদান হচ্ছে, তা তদারকির প্রক্রিয়া নেই বলে মনে করেন আইসিটি বিশেষজ্ঞরা। তাদের ভাষ্য, বিগত সময়ে এ খাতে সরকার বিপুল পরিমাণ বাণিজ্য করলেও এখন তা হচ্ছে কয়েক কোটি টাকা মাত্র।