
সোমবার (২৮ জুলাই) রাতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নতুন সিদ্ধান্তের কারণে দেশের ৬৫ হাজার ৫০২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দশম গ্রেড অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি ১২৪/২০২২ নম্বর সিভিল রিভিউ পিটিশনে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ অনুসারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বিদ্যমান ১১তম থেকে দশম গ্রেড বেতন স্কেলে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
‘এ ধারাবাহিকতায় দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল দশম গ্রেডে উন্নীতকরণ যৌক্তিক বিবেচিত হওয়ায় সরকার দেশের ৬৫ হাজার ৫০২ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল বিদ্যমান ১১তম গ্রেড (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) ও ১২তম গ্রেড (প্রশিক্ষণবিহীন) থেকে দশম গ্রেডে উন্নীতকরণে সম্মতি দিয়েছে।’
এতে আরও বলা হয়, যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করা হলো। গৃহীত উদ্যোগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং তাদের সামাজিক মর্যাদা সুসংহত করবে। ফলে তারা প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে আরও সৃজনশীল ও উদ্দীপ্ত ভূমিকা পালন করবেন। এতে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আরও উন্নত ও গতিশীল শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত হবে।
সরকার দশম গ্রেড দিয়ে প্রধান শিক্ষকদের প্রতি দায়বদ্ধতা ও সম্মান দেখিয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুলাই চার দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ কর্মসূচি পালন করেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তাদের চার দফা দাবির মধ্যে ছিল- সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড প্রদান, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে সব প্রধান শিক্ষকের ১০ম গ্রেডের জিও জারি, চলতি দায়িত্বসহ সিনিয়র শিক্ষকদের শতভাগ পদোন্নতি এবং ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদান।